হামাসের প্রাণ’ভোমরা কোথায় লুকানো! কারা লড়বে এবার ? খতরনাক নেক্সট জেনারেশন, ঘুরে দাঁড়ানোর ব্লুপ্রিন্ট

।। প্রথম কলকাতা ।।

হামাসের প্রাণভোমরা ছুঁতে পারেনি ইসরাইল। গাজার সুড়ঙ্গেই লুকোনো হামাসের সুপারপাওয়ার। ইসরাইলি অপারেশনে সবকিছু শেষ, তারপরেও কীসের জোরে ঘুরে দাঁড়াবে প্যালেস্টাইনি জঙ্গি গোষ্ঠী? পুরো একটা যুগ শেষ? কারা লড়বে এরপর হামাসের হয়ে? পৃথিবীর কোথায় লুকোনো হামাস যোদ্ধাদের নেক্সট জেনারেশন? এতো সহজে হার মানেনা। দেখুন হামাসের ঘুরে দাঁড়ানোর ব্লুপ্রিন্ট। হামাসের পাওয়ার জানে গোটা বিশ্ব। কিন্তু, ইসরায়েলের আইডিএফ কি আদৌ হামাস কে ছুঁতে পেরেছে? সত্যিই কী হামাসের সব শেষ হয়ে গেছে? যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? হামাসের প্রাণকেন্দ্রের নাগাল এখনও পায়নি ইসরায়েল। এরপরেও যুদ্ধ বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়লি হামলায় হামাসের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। গোটা গাজা তছনছ হয়ে গেছে। হামাসের সুড়ঙ্গ অব্দি পৌঁছে গেছে আইডিএফ।

হামাসের সামরিক ঘাঁটি, সুড়ঙ্গ, অস্ত্রাগার, অস্ত্র তৈরির কারখানা, ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। একটা দিনের দিকে তাকালেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। একদিনে গাজায় হামাসের তিনশোরও বেশি অবস্থান লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তাহলে ভাবুন জল, স্থল ও আকাশপথে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়লি সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক হামলায় হামাসের কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে! হামাসের ক্ষমতা জানে গোটা বিশ্ব আগেও বলেছি, কিন্তু ইসরায়েল? উত্তর গাজায় হামাসের সব সামরিক ঘাঁটি ও সেনা ইউনিট ঘিরে ফেলেছে ইসরায়লি বাহিনী। শেখ ইজলিন, শাতি শরণার্থী শিবির, বেইত হানুম, রিমাল, জেইতুন, জাবালিয়া ও বেইত লাহিয়ার মতো এলাকাগুলো থেকে হামাস যোদ্ধাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তর গাজার অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে হামাস। অসংখ্য হামাস যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তাই সামরিক ক্ষয়ক্ষতি ও অসংখ্য যোদ্ধা হারানো হামাস কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সামরিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে হামাসকে নিয়ন্ত্রণ হারানো এলাকা যেমন পুনরুদ্ধার করতে হবে। তেমনই ব্যাপক পরিমাণে যে সামরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তাও পূরণ করতে হবে। আগে হামাসের অবস্থাটা জানুন। বর্তমান স্ট্যাটাসটা জানুন। তথ্য বলছে গত ৭ অক্টোবরের আগে হামাসের যোদ্ধা ছিল আনুমানিক ৩০ হাজার। উত্তর গাজায় হামাসের কমপক্ষে ১০টি ব্যাটালিয়নে যোদ্ধার সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে!। এসব ব্যাটালিয়নে আনুমানিক ১৪০ কোম্পানি যোদ্ধা ছিল। একটি কোম্পানিতে ১০০ জন পর্যন্ত যোদ্ধা থাকে। মোদ্দা কথা, ইসরায়েলের আকস্মিক হামলায় হামাসের কেউ কেউ নিহত হয়েছে, কেউ কেউ আটক।তাই, সবদিক বিবেচনা করে সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন উত্তর গাজায় নতুন করে হামাস যোদ্ধা মোতায়েন ছাড়া হামাসের হাতে বিকল্প নেই। যুদ্ধবিরতি চললেও ইসরায়েলি বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের ঘিরে রাখবে।

এই সময় হামাস তাদের সেনা ইউনিট কিছুটা এদিক–সেদিক করতে পারলেও আগের অবস্থায় ফেরা অসম্ভব। এদিকে ইসরায়েল বলেছে, যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় আবার হামলা চালাবে তারা। ফলে সহজেই ঘুরে দাঁড়ানো, হামাসের জন্য যে কঠিন হবে এবং সময়স্বাপেক্ষ সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version