Cyclone Mocha: মোকার জেরে কলকাতায় বৃষ্টি কখন? বিশেষ সতর্কতা এই জেলায়

।। প্রথম কলকাতা ।।

Cyclone Mocha: মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে তৈরি হল মোকা। খেলা দেখাতে শুরু করেছে সাইক্লোন। ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি বেগে বাংলাদেশের কোথায় আছড়ে পড়বে? অল্পের জন্য বেঁচে গেল বাংলা? নাকি বিপদ রয়েছে? বাংলাদেশের সঙ্গে এপার বাংলার এই জেলাতেও আতঙ্ক বাড়ছে। মোকার কারণেই কলকাতা সহ কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? বঙ্গোসাগরের বুকে ক্রমেই শক্তি বাড়িয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝ়ড় থেকে শক্তি বাড়িয়ে মারাত্মক হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। তীব্র গরমে মোকা স্বস্তি দেবে নাকি বিপদের কোনও কারণ রয়েছে?

মধ্য বঙ্গোপসাগরের থেকে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে শুক্রবার রাতের দিকেই মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে মোকা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের বুকে আরও ঝড় তুলবে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে গিয়ে হয়ে আরও ঘণীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার দুপুরের দিকে মোকা অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ওই সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।

বাংলাদেশ এবং মায়নমারে ধ্বংসাত্মক রূপে দেখা দেওয়ার পূর্বাভাস থাকলেও মোকার হাত থেকে রেহাই পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সত্যিই কী তাই? আবহবিদরা কী বলছেন? মোকার প্রভাবে বৃষ্টি হবে বাংলায় শনিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দিঘা-সহ রাজ্যের বেশ কিছু উপকূল এলাকায় মোতায়েন রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সোমবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারেও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।

উপকূলবর্তী জেলা হওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন দিঘায় বাড়তি সতর্কতা। দিঘায় নামল এনডিআরএফ -এর টিম
এই টিম উপকূলবর্তী গ্রামেও ঘুরে মাইকিং চালাবে। দিঘা উপকূলবর্তী এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে। পর্যটকদের সমুদ্রে নামার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের এই দুদিন সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি।

ঘূর্ণিঝড় মোকা মধ্য বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে। কী কী প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ? মোকার জেরে আপাতত ৫ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশের প্রশাসন। শনিবার থেকেই এই স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশে অন্তত ৫৭৬ টি সাইক্লোন-ত্রাণ শিবির গড়ে উঠেছে। সেনা, কোস্ট গার্ড প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তুত আছে স্থানীয় প্রশাসনও। সাগর উপকূল থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বিস্তৃর্ণ উপকূলীয় এলাকাজুড়ে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরণের প্রস্তুতি। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড় মোকা তৈরির সময় এ রাজ্য থেকে জলীয় বাষ্প শুষে নেওয়ায় আবহাওয়ায় বিরাট পরিবর্তন এসেছিল। জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহ, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি এবং তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছিল। স্বস্তির বৃষ্টির জন্য কার্যত চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিল রাজ্যবাসী। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলায় এবার কিছুটা হলেও গরম কমবে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version