পুতিনকে অস্ত্র দিলে কী পাবেন কিম ? ঘুম হারাম যুক্তরাষ্ট্রের

।। প্রথম কলকাতা ।।

পুতিনকে অস্ত্র দিলে কী পাবেন কিম? কোটি টাকার প্রশ্ন! পুতিনের বড় লাভ, কয়েক সেকেন্ডে ঘোরাতে পারে যুদ্ধের হিসেব। রাশিয়ার স্পেস সেন্টারে মুখোমুখি কিম-পুতিন। তলে তলে যুক্তরাষ্ট্রকে জব্দ করার ছক? কিমের অস্ত্রই পুতিনের হাতিয়ার? পুতিন’ই জিতবেন, কিমের মারাত্মক ভবিষ্যদ্বাণীতে প্রাণ শোকাচ্ছে ইউক্রেনের। ইউক্রেন যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢাললো উত্তর কোরিয়া। রাশিয়ার স্পেস সেন্টারে কিম-পুতিন ফেস টু ফেস কী হল সেই বৈঠকে?কোন পক্ষের লাভ কতটা? তার থেকেও বড় প্রশ্ন ক্রেমলিনকে অস্ত্র দেবে উত্তর কোরিয়া?

অলরেডি, কিম আশ্বাসের সুরে ভবিষ্যৎবাণী করে দিয়েছেন। বলে দিয়েছেন ইউক্রেন যুদ্ধে শত্রুদের মোকাবিলা করে রাশিয়া জিতবে আর এতেই ভয়ে কাঁপছে ইউক্রেন। তাহলে কী উত্তর কোরিয়ায় বিশাল প্রতিরক্ষা শিল্প খাতে এন্ট্রি নিল রাশিয়া? মনে করিয়ে দিই, ওই খাতের উৎপাদন ক্ষমতা বিশাল। ভয় একটাই ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য যুদ্ধাস্ত্রের বড় জোগানদার হয়ে উঠতে পারে পিয়ংইয়ং। তাই যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকে ওয়ার্ন করে আসছে। কিম পুতিনের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি হলে তার ফল যে ভালো হবে না সেটা স্ট্রেট জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। তারপরেও কিম পুতিন একসঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে গোটা বিশ্বকে। কিন্তু পরাশক্তি রাশিয়ার মতো পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডারে পরিপূর্ণ দেশ কেন অস্ত্রের জন্য উত্তর কোরিয়ার দ্বারস্থ হবে? নাকি এর পেছনে আছে আরও বৃহৎ স্বার্থ, যাতে লাভ হতে পারে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া দু’দেশেরই?

উঃ কোরিয়ার বাণিজ্যের পরিসংখ্যান জানায় না তেমনি জানায় না নিজেদের সম্পদের পরিমাণও তবে, কোভিড মহামারির কারণে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় গত তিন বছর ধরে সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল উত্তর কোরিয়া। বাণিজ্যও স্থগিত করা হয়েছিল। এর ফলে দেশটিতে খাদ্য ও ওষুধের চরম ঘাটতি দেখা দেয়। খাদ্য সংকটে ভুগতে থাকে দেশটা। সাথে সাথে দেশটির অর্থনীতিও পড়ে চরম সংকটে। যে পরিস্থিতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি উত্তর কোরিয়া। আর এই সংকট অবস্থা কাটাতেই কিমের রাশিয়া সফর বলে মনে করছেন অনেকে। মূলত, রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া নিজেদের অর্থনৈতিক ভগ্নদশা কিছুটা হলেও কাটাতে চাইছে কারণ, অস্ত্রের দিক দিয়ে বেশ ভালো ক্ষমতাধর কিমের দেশ। এটা ফ্যাক্ট। তাই, তলে তলে রাশিয়ার সাথে অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তি হয়ে গেলে উত্তর কোরিয়ার জন্য বিষয়টা ব্যাপক লাভজনক হবে।

অন্যদিকে পুতিনের জন্যেও এটা ভালো সুযোগ! উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রে রাশিয়া সমৃদ্ধ হলে ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করা পুতিনের জন্য আরো বেশি সহজ হবে, মোদ্দা কথা লাভ দু পক্ষেরই। তাহলে কি এবার কিমের অস্ত্র তলে তলে ঢুকবে রাশিয়ায়? কিম কিন্তু কনফিডেন্টলি বলেছেন রাশিয়ার সেনারা অবশ্যই বিশাল জয় পাবে। এই যুদ্ধের মাধ্যমে শয়তানদের শাস্তি দেবে। রাশিয়ার সেনারা বিশ্বব্যাপী অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। রাশিয়ার সম্মান বাড়াবেএটা তো ঠিক, ইউক্রেনের সঙ্গে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ রাশিয়ার জন্য সেই অর্থে ভালো হয়নি। এতে অনেক অস্ত্র খরচ হয়েছে। তাই মস্কোকে আবার অস্ত্রের মজুত বাড়াতে হবে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে উত্তর কোরিয়ার সাহায্য ছাড়া রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে না।

আসলে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের ‘আধিপত্যের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার। যা দুই নেতাকে কাছাকাছি এনেছে। তাঁরা দুজন এখন মূলত প্রয়োজনের বন্ধু। এই ২০২৩ সালের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় তাঁদের বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যে বন্ধুত্ব থেকে দুজনই লাভবান হতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে
সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কোন পথে এগোবে সেটা সময় বলবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version