Cyber Fraud: আচ্ছা বায়োমেট্রিক লক করেও তো টাকা উধাও হচ্ছে! সেক্ষেত্রে কী করবেন?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Cyber Fraud: আধার প্রতারণার হাব কি উত্তর দিনাজপুর? দুজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আচ্ছা বায়োমেট্রিক লক করেও তো টাকা উধাও হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কী করবেন? টাকা বাঁচানোর আর কী কিছু পথ রইল? কি সেই পথ ?চুরি হয়ে যাচ্ছে হাতের ছাপ। ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা। প্রতারণার নতুন ফাঁদ রাজ্যে। সাইবার প্রতারকরা বায়োমেট্রিক ছাপ চুরি করে ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব করে দিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। বিগত কয়েক দিনে রাজ্য জুড়ে একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। যা নিয়ে রীতিমতো তটস্থ হয়ে পড়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।

আধারের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজে হাতের ছাপ দেওয়া হয়। সেই হাতের ছাপ কোনও ভাবে পৌঁছে যাচ্ছে প্রতারকদের কাছে। খাস কলকাতার বাগুইআটিতেই সম্প্রতি এমন ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। যার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে কলকাতা পুলিশ।দু’জনেই উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা। কীভাবে বাঁচবেন প্রতারকদের হাত থেকে? কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে? কীভাবে রক্ষা করবেন নিজের হাতের ছাপ? উপায় বলে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা! বায়োমেট্রিক লক করার পরামর্শ তো আগেও একাধিক বার পেয়েছেন। অনেকে করেও নিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও তো টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কি করবেন? কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনার টাকা বাঁচাতে পারবেন? কি বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা ?

আধার নম্বর লুকিয়ে রাখতে ভিআইডি বা Virtula ID ব্যবহার করুণ। কী এই Virtula ID? আধার নম্বর আড়ালের জন্য একটি অস্থায়ী নম্বর বা অস্থায়ী আইডি এটি। ভার্চুয়াল আইডি ১৬ সংখ্যার হয়। যা UIDAI ওয়েবসাইট থেকেই তৈরি করা যায়। এই ভার্চুয়াল আইডি-এর কোনও সময়সীমা নেই। নতুন ভার্চুয়াল আইডি তৈরি করলে তবেই পুরনোটি বাতিল হয়। UIDAI-এর তথ্য় অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরে নতুন ভার্চুয়াল আইডি তৈরি করা যায়। আধার নম্বরের বদলে এই নম্বরটি ব্যবহার করা যায়। এই Virtual ID থেকে আধার নম্বর বের করা সম্ভব নয়।

কীভাবে পাবেন Virtual ID?

এই ভার্চুয়াল আইডি কোনও সংস্থা তাদের কাছে রাখতে পারে না। ব্যাবহারকারী ইচ্ছে করেলই এই VID বদলে ফেলতে পারেন। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বারবার এই ভার্চুয়াল আইডি বদলে ফেলা যায়। এভাবে অনেকটাই নিরাপদ রাখতে পারবেন আপনার আধারকে। আর তারপরেও যদি টাকা উধাও হয় তাহলে কয়টি জায়গায় কমপ্লেন করতে পারবেন।

প্রথমত, আপনার ব্যাংক থেকে টাকা উধাও হওয়ার তিন দিনের মধ্যে ব্যাংকের জানবেন। অবশ্য সেটা লিখিতভাবে। তার দশ দিনের মধ্যেই সেই টাকা আপনি ফিরে পেতে পারেন। দ্বিতীয়তঃ ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কমপ্লেন রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল রয়েছে সেখানে একটি কমপ্লেইন ফাইল করতে পারেন। স্ক্রিনশট এবং প্রমান সহ কমপ্লেইনটি করতে হবে। তৃতীয়ত, সাইবার অ্যাডযুডিকেশন বলে একটি প্লাটফর্ম রয়েছে। যেখানে গিয়েও মামলা ফাইল করতে পারেন।এছাড়াও কনজিউমার ফোরামের সাহায্যও নিতে পারেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version