Jamai Sasthi 2023: মেয়ের জীবন সুখের করতে চান? জামাই ষষ্ঠীতে কোন নিয়ম মানবেন?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Jamai Sasthi 2023: মেয়ের জীবন সুখের করতে চান? জামাই ষষ্ঠীতে কোন কোন নিয়ম মানবেন? জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় ব্রত রেখেছেন কিন্তু সঠিক নিয়ম মানছেন তো? মেয়ে জামাইয়ের জীবন সুখ শান্তিতে ভরাতে করুন ছোট্ট কাজ।

গোটা বছর বাঙালি অপেক্ষা করে এই একটা দিনের জন্য। জৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে জামাইয়ের কপালে শাশুড়িরা দই চন্দনের ফোঁটা দেন। আয়োজনে থাকে বিভিন্ন ধরনের মরশুমী ফল, মিষ্টি সহ জামাই ভোজের বিশাল খাদ্য তালিকা। জামাইরাও এই একটা দিন শ্বশুরবাড়ি স্পেশাল জামাই আদরের অপেক্ষায় দিন গোনেন। ২০২৩ এ জামাইষষ্ঠী পড়েছে ২৫শে মে বৃহস্পতিবার। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১০ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০। গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ষষ্ঠী তিথির সূচনা হবে বৃহস্পতিবার ভোর ২ টো ২২ মিনিট থেকে। তিথি থাকবে শুক্রবার সন্ধে ৬টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। পঞ্জিকা ভেদে সময়ের পার্থক্য রয়েছে।

জামাইকে আপ্যায়ন করতেই যত আয়োজন। তাই তো এই তিথির নাম লোকমুখে হয়ে দাঁড়িয়েছে জামাই ষষ্ঠী। এই তিথিকে আবার বলা হয় অরণ্য ষষ্ঠী। মূলত সন্তানদের মঙ্গল কামনা করে শাশুড়ি মায়েরা এই ব্রত পালন করেন।
আপনি যদি বাড়িতে জামাইষষ্ঠী পালন করেন, তাহলে মানুন সামান্য কয়েকটি নিয়ম। জামাই এবং সন্তানদের মঙ্গল কামনায় এই দিন তাদের হাতে একটি মাঙ্গলিক সুতো বেঁধে দিন। মা ষষ্ঠীকে নিবেদন করুন ছটি ফল। তারপর ব্রতকথা শুনে জলে ডুবিয়ে রাখা ঠান্ডা তালপাতার বাতাস করুন। খেয়াল রাখুন, জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুর বাড়িতে জামাই যেন একা না আসে। মেয়েকে নিয়ে জোড়ে প্রবেশ করতে হবে। জামাইকে বরণ করে মিষ্টি খাওয়ানোর পর কাঁচের গ্লাসে ডাবের জল দিন। বলা হয় এতে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। বরণ শেষে জামাইয়ের হাতে দিন একটি নীল অপরাজিতা ফুল। কথিত আছে , মেয়ে জামাইকে সুখী করতে জামাইষষ্ঠীর আগের দিন বাড়ির ঈশান কোণে একটি তুলসী পাতা সহ গঙ্গাজল ভর্তি তামার ঘট রেখে দিতে হয়। পরের দিন মেয়ে জামাই এলে সেই জল তাদের উপর ছিটিয়ে দিন।

হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, দেবী ষষ্ঠী সন্তানাদির দেবী। জ্যৈষ্ঠ, ভাদ্র, আশ্বিন, অগ্রহায়ণ আর চৈত্র মাসের ষষ্ঠী তিথিতে দেবী ষষ্ঠীর আরাধনা করা হয়। যদিও মাস ভেদে দেবীর বিভিন্ন নাম এবং পুজোর রীতিতে পার্থক্য রয়েছে। বাংলা লোকসংস্কৃতিতে এই অরণ্য ষষ্ঠী বা জামাইষষ্ঠীর রীতি বহু পুরনো। জামাই ষষ্ঠী কেন পালন করা হয়? শুনুন তবে। একটা সময় দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রীতি বা প্রথা ছিল যতদিন না বিবাহিত মেয়েদের সন্তান হবে ততদিন মেয়ের বাবা-মা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে যেতে পারবেন না। অথচ সেই সময় খুব কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে হত এবং অল্প বয়সে গর্ভবতী হওয়ার কারণে নানান শারীরিক সমস্যা থাকত। সন্তান ধরনের সমস্যা বা সন্তান মৃত্যুর ফলে মেয়ের বাবা মাকে মেয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হত। মেয়ের চিন্তায় পাগল হয়ে যেতেন বাবা মায়েরা। তাই মেয়ের মুখ দেখতে শাশুড়ি মায়েরা জৈষ্ঠ মাসের শুক্ল ষষ্ঠীতে জামাই আদরের আয়োজন করেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version