।। প্রথম কলকাতা ।।
বেলারুশে ওয়াগনার ঘাঁটি কোন বিপদের সংকেত? তবে কী পুতিনের নতুন চালে জড়াচ্ছে ইউক্রেন? চরম টেনশনে ন্যাটো। খেলা ঘুরছে কোন অ্যাঙ্গেলে? স্যাটেলাইট ইমেজে কী দেখা যাচ্ছে? জবাব দিতে কতটা তৈরি ইউক্রেন? বেলারুশে ওয়াগনার যোদ্ধাদের অবস্থান নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগ বাড়ছে। ভরে যাচ্ছে মাঠ, জেলেনেস্কির বুকে কাঁপুনি ধরাচ্ছে ওয়াগনার এর নয়া স্ট্র্যাটেজি। মস্কোতে ব্যর্থ বিদ্রোহের পর বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে চুক্তি করে মিনস্কে পাড়ি জমিয়েছেন ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন। ওয়াগনারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তুমুল জল্পনায় জল ঢেলে এবার সামনে এলো চাঞ্চল্যকর এক স্যাটেলাইট ইমেজ। কি দেখা যাচ্ছে তাতে?
ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে বেলারুশের ভূখণ্ডে নতুন করে ওয়াগনার বাহিনীর জন্য ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে। আর এই সামরিক ঘাঁটিই ন্যাটোকে টেনশনে ফেলে দিচ্ছে। বিষয়টি নজরে এসেছে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দাদেরও। সীমান্ত এলাকায় ওয়াগনারের ঘাঁটি গাড়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে জেলেনস্কি প্রশাসনের। বেলারুশের সীমান্ত এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তাও। শুধু বেলারুশিয়ান নাগরিকরাই নয়, পাল্লা দিয়ে প্রতিবেশী লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ডের ও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে। বেলারুশীয় অঞ্চল অসিপভিচিতে পরিত্যক্ত একটি সেনা ঘাঁটিকে আবার নতুন করে সাজানো হচ্ছে। জানিয়ে রাখি, বেলারুশ এর প্রেসিডেন্ট আগেই জানিয়েছিলেন ওয়াগনার ঘাঁটি চাইলে সেটা প্রস্তুত আছে, তাঁবু লাগানো হোক, তাঁরা প্রয়োজনীয় সাহায্য করবেন। আর তারপরেই প্রকাশ্যে উঠে এসেছে এই স্যাটেলাইট ইমেজ।
যেখানে গত ১৫ জুনের তোলা ছবিতে ওই এলাকায় কোনো নতুন অবকাঠামোর সন্ধান না পাওয়া গেলেও, ৩০ জুনের তোলা ছবিতে স্পষ্ট সাদা এবং সবুজ রঙের অবকাঠামো বা তাঁবু দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া, ওয়াগনারের নতুন ঘাঁটি গড়ে তোলার বিষয়টা নিশ্চিত করেছে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বিরোধী গেরিলা গোষ্ঠী। যদিও, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অলরেডি বলেছেন, ওয়াগনার সেনারা চাইলে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরতে পারে, ইউক্রেন যুদ্ধে আবারও অংশ নিতে পারে অথবা বেলারুশে পাড়ি জমাতে পারে। তবে ওয়াগনারের বেলারুশে পাড়ি জমানোর বিষয়টা পুতিনেরই নতুন কোনো চাল কি না, তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
জল্পনা শুরু হয়ে গেছে, কারণ সম্প্রতি প্রতিবেশী মিনস্কে ষ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরমাঝেই ওয়াগনার এর নয়া সামরিক ঘাঁটির সন্ধান, ধোঁয়াশা বাড়াচ্ছে। আগেভাগেই সাবধান হচ্ছে ইউক্রেন। জেলেনস্কি বলেছেন, বেলারুশ সীমান্ত এলাকায় বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। গোয়েন্দা বাহিনী প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাচ্ছে। পুরো বিষয় বিবেচনা করে সীমান্ত নিরাপত্তা আরও জোরদারের নির্দেশ দেওয়া আছে সেনাবাহিনীকে। এরপর পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার বিষয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম