Delhi pollution: কমছে দৃশ্যমানতা, ভয়াবহ দূষণের চাদরে ঢাকা পড়ছে দিল্লি

।।প্রথম কলকাতা।।

Delhi pollution: শীত আসতেই ফের ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে রাজধানী দিল্লি। বাড়ছে দূষণের মাত্রা। কমেছে দৃশ্যমানতা। অবস্থাএতটাই খারাপ যে দিনের বেলাতেও গাড়ি চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। ভয়াবহ এই বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় প্রশাসন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে পা না রাখার পরামর্শ দিয়েছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা গিয়েছে।

দিল্লির এই দূষণের সমস্যা নতুন নয়। তবে গত কয়েক বছরে তা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয় বছর বছর তা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা।বায়ুদূষণের প্রভাবে ধোঁয়ায় ঢেকে থাকছে দিল্লির বেশিরভাগ এলাকা। দিল্লির বাতাসের গুণমান বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

অগুণতি গাড়ি ও কলকারাখানার ধোঁয়ার পাশাপাশি নাড়া পোড়ানো এই দূষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে,দিল্লির ৮০ শতাংশ পরিবার বায়ু দূষণ সংক্রান্ত অসুস্থতায় ভুগছেন।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি এবং চোখ জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শ্বাস নিতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মানুষ। এ ছাড়াও, মাথাব্যথা, ঘুম না হওয়া, কোনও কাজে মন দিতে না পারা কিংবা অনাবশ্যক অস্থিরতার মতো উপসর্গেও ভুগছেন অনেকে।দূষণের ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বয়স্ক মানুষরা। এ ছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রেও দিল্লির বাতাস ক্ষতিকারক হয়ে উঠেছে। যাঁদের হৃৎপিণ্ড কিংবা ফুসফুসের অসুখ রয়েছে, তাঁদের পক্ষে এই বাতাস অত্যন্ত উদ্বেগজনক।ফুসফুসের ক্ষেত্রেও সব থেকে বিপজ্জনক এই অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই দিল্লির বাতাসে যা ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে সর্বত্র মাস্ক পরে চলাফেরা করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

একটু একটু করে দূষণ বাড়ছিলই। গত কয়েক দিনে দূষণের সূচক ভাবে ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এখনই এই দূষণ কমার তেমন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।বাতাসের গুণমানের সূচক ৩৫১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে থাকলে বাতাসের মান ‘ভয়াবহ’ বলা হয়। ৫০০ ছাড়িয়ে গেলে তা হয়ে ওঠে ‘অতি ভয়াবহ’। গুণমানের এই সূচকটি নির্ভর করে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম-১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম ২.৫)-এর উপরে। কার্যত কোনও অঞ্চলে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম ২.৫-এর উপস্থিতির হারই সেই অঞ্চলের বাতাসের গুণমানের সূচক। ইতিমধ্যেই অতি ভয়াবহ মাত্রা পার করেছে দিল্লি। দূষণ পরিস্থিতির জন্য আগে দিল্লিতে স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। ডিজেল চালিত গাড়ির ওপরেও কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। এবার এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version