।। প্রথম কলকাতা ।।
Russia-Ukraine War: বছর গড়িয়ে গেলেও যুদ্ধ থামেনি। তবে নতুন বছরের প্রথম রাতে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন (Ukraine)। এবার প্রত্যাঘাত করেছে জেলেনস্কির দেশ। একের পর এক রকেট গিয়ে পড়েছে রাশিয়ার (Russia) সামরিক ঘাঁটিতে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে, হামলায় মৃত্যু হয়েছে অনেকের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
‘আনন্দবাজার অনলাইন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক প্রদেশে হামলা চালিয়েছে কিয়েভ (Kyiv)। অন্ততপক্ষে ২৫টি রকেট ছোড়া হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর দরুন নিহত হয়েছেন রুশ সামরিক বাহিনীর অনেকেই। আহত বহু রুশ সেনা আধিকারিক। এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের হামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
প্রসঙ্গে রাশিয়ার উচ্চপদস্থ সামরিক কর্তা ডানিল বেজসোনভ জানিয়েছেন, ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী নতুন বছর শুরু হওয়ার ২ মিনিটের মধ্যেই হামলা চালায় ইউক্রেন। সারে সারে রকেট এসে পড়তে থাকে রুশ সামরিক ঘাঁটিতে। যে ভবনে হামলা করা হয়েছে, তা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানী কিয়েভ সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গত বুধবার রাতে পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ সেনাবাহিনী। প্রবল তুষারপাতের মাঝেও হামলা জারি রেখেছে পুতিনের সেনা (Vladimir Putin)। যার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কিয়েভ সহ বিভিন্ন শহরের বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ ব্যবস্থা।
প্রায় ৩০০ দিনের কাছাকাছি হয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। থামার কোনও লক্ষণ নজরে আসছে না। এমনকি বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে যুদ্ধ থামানোর জন্য যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা রাশিয়ার বিদেশ সচিব সের্গেই লাভরভ নাকচ করেছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানী কিয়েভের পাশাপাশি ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহরগুলিতে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ান বাহিনী। মাস কয়েক আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, শীতে নতুন করে হামলা চালাতে পারে পুতিনের দেশ। দেশে বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকার জন্য সকলকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি নাগরিকদের জন্য আশ্রয় শিবির খোলার কথা বলেছিলেন।
চলতি মাসে ইউক্রেন জানায়, কিয়েভ দখলের লক্ষ্যে নতুন করে প্রস্তুতি শুরু করেছে রুশ ফৌজ। যেখানে বাছাই করা বেশ কিছু গোলন্দাজ, ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া ব্যাটেলিয়ন রয়েছে। ইউক্রেনের বক্তব্য, আমেরিকা ও ইউরোপের অস্ত্র সরবরাহ আটকাতেই হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে মস্কো। তবে নতুন বছরের শুরুতে রুশ সেনাঘাঁটিতে প্রত্যাগাত করেছে ইউক্রেন। এখনও পর্যন্ত হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। এদিকে প্রথম থেকেই এই যুদ্ধ থামানোর জন্য দুই দেশকে আলোচনায় বসার কথা বলে এসেছে নয়া দিল্লি। এমনকি সম্প্রতি ইউক্রনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন রাশিয়ার বিদেশ সচিব।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম