Christmas Day: সত্যি সান্তা মোজায় রাখে সোনার কয়েন, বাস্তবের এই গল্প অবাক করবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Christmas Day: বড়দিন মানেই শিশুরা সারারাত ঝুলিয়ে রাখবে একটা মোজা। আর সকালে তাদের স্বপ্নের সান্তা ক্লজ এসে দিয়ে যাবে মজাদার সব উপহার। খুদেদের কাছে এটা একটা বড় পাওনা, তবে এই উপহার তুষার দেশের সান্তা নয়, বরং শিশুদের ভালবাসার মানুষগুলো সান্তা সেজে দিয়ে যায়। জানেন, এই সান্তার গল্প কিন্তু একদমই বানানো নয়। সত্যি সত্যি এমন এক সান্তা ছিলেন, যিনি মোজায় রেখে যেতেন সোনার কয়েন। যা দিয়ে অভাব অনটন মিটত গরিব মানুষের। মুখে হাসি ফুটতো একটা গোটা পরিবারের।

সেন্ট নিকোলাস: সান্তা ক্লজ

আসলে বড়দিনের এই সান্তা ক্লজের সাথেই জড়িয়ে রয়েছে সেন্ট নিকোলাস। চতুর্থ শতাব্দীতে তিনি ছিলেন একজন ধনী এবং অত্যন্ত দয়ালু ব্যক্তি। কোন মানুষেরই তিনি দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারতেন না। ধনী হলেও খুব ছোট বয়সেই বাবা মাকে হারিয়ে ছিলেন। তাই ছোটদের কষ্ট সহজেই অনুভব করতে পারতেন। পরবর্তীকালে এই সেন্ট নিকোলাস বাচ্চাদের উপহার দেওয়ার জন্য খুব কাছের এবং প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। ধীরে ধীরে সেন্ট থেকে সান্তা এবং নিকোলাস থেকে ক্লজ, তিনি হয়ে উঠলেন বাচ্চাদের প্রিয় সান্তা ক্লজ।

• লুকিয়ে মোজায় রাখতেন সোনার মোহর!

সেন্ট নিকোলাসকে নিয়ে এক প্রচলিত কাহিনি রয়েছে, যার অনেকাংশেই সত্য। তিনি লক্ষ্য করেন, শহরে এক গরিব ব্যক্তির তিনটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু সেই ব্যক্তি অত্যন্ত দরিদ্র হওয়ায় , কোন মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিলেন না। তিনি ঠিক করলেন চুপিচুপি ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করবেন। তৎকালীন সময়ে ইউরোপের এই শীতপ্রধান দেশ গুলিতে ঘর গরম করার জন্য কাঠের চুল্লী ব্যবহার করা হতো। যার চিমনি থাকতো একেবারে ছাদের উপর।

নিকোলাস চিমনির কাছে গিয়ে দেখতে পান মোজা শুকাতে দেওয়া রয়েছে। তিনি দেরি না করেই চুপিচুপি মোজার মধ্যে রেখে দেন সোনার মোহর। সেই দরিদ্র ব্যক্তিটি ওই মোহরে তিন মেয়ের ভালোভাবে বিয়ে দিতে পেয়েছিলেন। এই ভাবেই সেন্ট নিকোলাস অসহায় এবং দুঃস্থ ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতেন। সেই সময় থেকেই ধীরে ধীরে চলে আসে সান্তাক্লজের ধারণা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version