।। প্রথম কলকাতা ।।
কোথায় হলিউড আর কোথায় বলিউড, রূপ লাবণ্যে অর্থে এগিয়ে এই সুন্দরী। থাকেন হিরের বাড়িতে। প্রতিদিন বদলে ফেলেন গাড়ি। এক পোশাক দুবার পরেন না। পোষ মানান সিংহকে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। এই লাস্যময়ী নারী পৃথিবীতেই বানিয়েছেন এক টুকরো স্বর্গ। রূপোলি পর্দার স্টার নন, ইনি বাস্তবের রানী। সুন্দরী তো বটেই, পাশাপাশি চেহারায় ফুটে উঠে আভিজাত্য। যার কথা বলা হচ্ছে তিনি কিন্তু যে সে নন। একজন রাজকুমারী। তাও আবার দুবাইয়ের, যার রূপের ছটায় মোহিত সকলে।
নাম শেখ মাহরা বিন্ত মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। সবাই তাকে চেনে শেখ মাহারা নামে। দুবাই জুড়ে সর্বত্রই যেন তার ঝলমলে উপস্থিতি। জন্ম ১৯৯৪ সালে। ছোট থেকেই বড় হয়েছেন রাজঘরানায়। ফ্যাশন নিয়ে ভীষণ সচেতন। নিজেকে সাজান নিত্য নতুন পোশাকে। সমর্থন করেন আঞ্চলিক ডিজাইনারদের। বিয়ে করেছেন শেখ মানাকে। আমিরাত জুড়ে যার রয়েছে বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেটের বিশাল ব্যবসা।
কেন এত ব্যাপক জনপ্রিয় দুবাই রাজকন্যা? শুধুই কি অর্থ আর আভিজাত্যের কারণে? ২৯ বছর বয়সী দুবাই রাজকন্যা জীবন মোড়া আশ্চর্য কাহিনীতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ প্রভাবশালী। ইনস্টাগ্রামে রয়েছে লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার্স। জড়িয়ে রয়েছেন নানান ব্যবসার সঙ্গে। মানবিক কাজের জন্যও প্রশংসা পান। তবে তাকে আরব আমিরাতের শাসকের কন্যা হিসেবেই মানুষ বেশি চেনেন। ছোটবেলায় পড়াশোনা করেছেন দুবাইয়ের প্রাইভেট স্কুলে। তারপর চলে যান সোজা যুক্তরাজ্যে। রয়েছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ডিগ্রী। বারংবার পাশে দাঁড়িয়েছেন সুবিধা বঞ্চিত অসহায়দের পাশে। সংযুক্ত রয়েছেন নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে।
তবে দুবাইয়ে যে শুধুমাত্র এক জন রাজকন্যা, এমনটা নয়। শেখার বাবা রশিদ আল মাকতুম আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি এখনো পর্যন্ত ছয়টি বিয়ে করেছেন। মোট সন্তান ২৪ জন। দুবাইয়ে এখন ১১ জন রাজকুমার এবং ১৩ জন রাজকন্যা। যার মধ্যে তৃতীয় রাজকন্যা হলেন শেখা মাহরা। অন্যান্য রাজকন্যাদের থেকে একটু ভিন্ন। শেখা দুবাইয়ে জন্ম নিলেও বড় হয়েছেন ইংল্যান্ডে। লাইফস্টাইলেও রয়েছে ভিন্নতা। বিলাস বহুল জীবনযাপনের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়। রাজকন্যার জন্য আলাদা কোন স্বর্গের প্রয়োজন নেই। পৃথিবীতেই বানিয়ে নিয়েছেন নিজের স্বর্গ। যে বাড়িতে থাকেন তার প্রত্যেকটি কোনা আর সাজানো সোনা আর হিরে দিয়ে। বাড়িতে রাখেন কোটি কোটি টাকার ঘোড়া। এই মুহূর্তে তার কাছে রয়েছে প্রায় ১১ টি ঘোড়া, যার এক একটির দাম তিন মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। শুধুমাত্র ঘোড়ার পিছনে প্রতিবছর খরচ করেন চার মিলিয়ন ডলার। এছাড়াও রয়েছে দুটো রয়েল বেঙ্গল টাইগার, যাদের পিছনে খরচ হয় এক কোটি টাকা। তাকে বহু বার দেখা গিয়েছে উট এবং বাজপাখির সঙ্গে। সিংহ পুষতেও ভীষণ ভালোবাসেন।
বিলাসী জীবনযাপনের ছটা কিন্তু এখানেই থেমে নেই। দুবাইয়ের সবথেকে বিলাসবহুল বিল্ডিং বলা হয় প্রিন্সেস টাওয়ারকে, তার নিচের তলায় শুধুমাত্র শেখা-মহারার জন্য রয়েছে একটা স্পেশাল কমপ্লেক্স, যার মুল্য প্রায় ১৩০ মিলিয়ন ডলার। ফেরারি ছাড়া শেখা মহারা খুব একটা বাইরে বের হননা। এছাড়াও রয়েছে ল্যাম্বারগিনি, বিএমডাব্লিউ সহ বিশ্বের নামই দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি ও নিজস্ব বিমান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম