।। প্রথম কলকাতা ।।
Juice Mission: অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিল মিশন জুস। বৃহস্পতি গ্রহের অন্বেষণের জন্য একটি উচ্চাভিলাষী মিশন চালু করেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA)। জুপিটার আইসি মুনস এক্সপ্লোরার (JUPiter ICy Moons Explorer JUICE) মিশন ফ্রেঞ্চ গায়ানার রেইনফরেস্ট থেকে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহে আরিয়ান-৫ রকেটে যাত্রা করেছে। গতকাল ফ্রেঞ্চ গায়ানায় খারাপ আবহাওয়ার জন্য মিশন বৃহস্পতি উৎক্ষেপণ স্থগিত করেছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি।
জুস (JUICE) মহাকাশযান ২০৩১ সালের জুলাই মাসে বৃহস্পতির কক্ষপথে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ আট বছর ধরে এটি মহাকাশে ভ্রমণ করবে। জুস পৃথিবী এবং শুক্র প্রদক্ষিণ করে বৃহস্পতির কক্ষপথে পৌঁছাবে। জুসের কাজ হবে সৌরজগৎ-এর সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির তিনটি উপগ্রহকে পর্যবেক্ষণ করা। আরিয়ান-৫ নামের রকেটে করে বৃহস্পতির সবচেয়ে বড় তিনটি উপগ্রহ গ্যানিমেড, ক্যালিস্টো ও ইউরোপাতে পৌঁছাবে জুস।
যে দলটি মিশনের পরিকল্পনা করেছে, সামনে যা আছে তা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। মহাকাশযানটিকে গ্রহের শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা কক্ষপথে টেনে নেওয়ার আগে বৃহস্পতির দিকে গতি অর্জন করতে পৃথিবী এবং চাঁদের বিভিন্ন মাধ্যাকর্ষণ সহায়তার সাহায্যে পরবর্তী বছরগুলির জন্য মহাকাশের শূন্যতার চারপাশে তার পথ নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি বলেছে যে অভ্যন্তরীণ সৌরজগতের চারটি মাধ্যাকর্ষণ-সহায়ক ফ্লাইবাইগুলির মধ্যে প্রথমটি ২০২৪ সালের আগস্টে একটি চন্দ্র-পৃথিবী মাধ্যাকর্ষণ-সহায়ক দ্বারা সংঘটিত হবে।
এই প্রকল্পের ব্যয় ১৪,২৭০ কোটি টাকা। যার ওজন ৫,৯৬৩ কেজি। যে রকেটের মাধ্যমে যাত্রা করছে জুস, সেই আরিয়ান-৫ রকেটের উচ্চতা ৫৩ মিটার। রকেটটির ওজন ৭৯০ টন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, তিনটি উপগ্রহে জমা হওয়া বরফ সম্পর্কে গবেষণা করার জন্যই জুস-কে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও সেখানে কোনও সমুদ্র আছে কি না তাও পর্যবেক্ষণ করবে জুস। যদি সমুদ্র থাকে, তাহলে সেখানে প্রাণ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম