বদলে গেল নিয়ম! ভাঁজ পড়বে কপালে, গ্যাস সিলিন্ডার নিতে কী করতে হবে জানুন

।। প্রথম কলকাতা ।।

আপনি কি জানেন, রান্নার গ্যাসের কানেকশন রাখার নিয়ম বদলে গিয়েছে? আপনার বাড়িতে গ্যাসের যে কানেকশন রয়েছে তা আপনার বাড়ির কোনও সদস্যের নামেই আছে তো? প্রয়োজনে তাঁকে পাওয়া যাবে তো?নাহলে কিন্তু আপনাকে বড় সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে। আপনাদের অনেকেই রান্নার গ্যাসের সংযোগ বহু বছরের পুরনো। যাঁর নামে সংযোগ তিনি হয়তো গত হয়েছেন। অথচ নাম বদল করা হয়ে ওঠেনি। আবার অনেকে পরিবারের ঘনিষ্ঠ কারও নামে গ্যাস সংযোগ নিয়েছিলেন। তিনি হয়তোএখন অনেক দূরে থাকেন।এমনটা তো হতেই পারে তাই না! নতুন নিয়ম কিন্তু তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতেই পারে। আবার আপনার নামে গ্যাসের সংযোগ থাকলেও দুর্ভোগের শেষ নেই।এমনটাই বলছেন অনেকেই। আচ্ছা,ঠিক কি রয়েছে নতুন নিয়মে? কেন তা অনেকের জন্যই বেশ চিন্তার? আপনাকেও কি এজন্য সমস্যায় পড়তে হতে পারে?

হেঁশেলে রান্নার গ্যাস নেই এরকম সাধারণ মধ্যবিত্ত এখন আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। স্টোভ, উনুন ছেড়ে এখন সকলের ঘরে ঘরে রান্নার গ্যাস রয়েছে। কয়েক মাস আগেও সেই ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের দাম একপ্রকার আকাশচুম্বী ছিল। তবে সেই দামে এখন কিছুটা কমেছে।রান্নার গ্যাসের দাম এক ধাক্কায় ৯০০ টাকার ঘরে নেমে এসেছে। তাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের জীবনে। যদিও এখনো কিছু মানুষের পক্ষে ৯০০ টাকা দিয়ে গ্যাস কেনা স্বপ্নের সমান। যাইহোক শহর কলকাতা সহ বিভিন্ন শহর, রাজ্যে আগের থেকে বেশ কম দামেই এখন রান্নার গ্যাস মিলছে। আপনার ঘরেও নিশ্চয়ই এলপিজি কানেকশন আছে? তাহলে গ্যাসের ডেলিভারি বয়ের কাছ থেকে একটি প্রশ্নের জন্য আপনি তৈরি হয়ে থাকুন। যে কোনও দিন বাড়িতে গ্যাস দিতে আসা ডেলিভারি বয় যার নামে গ্যাস সিলেন্ডার কানেকশন আছে তার ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপ চাইতে পারে।

হ্যাঁ একদম ঠিক শুনছেন আপনি। এবার থেকে নতুন করে এই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। এবার এলপিজি গ্যাস নিতে গেলে লাগবে ছবি ও আঙুলের ছাপ। অর্থাৎ এখন থেকে বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন লাগবে এলপিজি গ্রাহকদের। শুধু হাতের আঙুলের ছাপই নয়, মাঝেমধ্যে গ্রাহকদের ফেস স্ক্যান অবধি করা হতে পারে বলে খবর।ডেলিভারি ম্যানরা যে বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যাবেন সেখানে যার নামে কানেকশন আছে তাঁর হাতের আঙুলের ছাপ, তাঁর ছবি নেবে। এরপর সেটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে আপলোড করবে তারা। ভাবুন একবার! কখন গ্যাস দিতে আসবে তার ঠিক নেই। আপনার নামে কানেকশন থাকলে আপনাকে ছবি, আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য ঘরে বসে থাকতে হবে। কিন্তু অন্য কারো নামে কানেকশন থাকলে কী হবে তখন! রীতিমতো চিন্তার বিষয়,তাই না?

আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের আওতাভুক্ত গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন হবে। তারপর ধাপে ধাপে সব গ্রাহকেরই বায়োমেট্রিক নেবে ইন্ডেন। কেন্দ্র শুধু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য সংগ্রহের কথা বললেও বিক্রেতা মহলের খবর, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই কাজ সারতে বলেছে তেল সংস্থাগুলি। এত কম সময়ে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের তথ্য যাচাই কী ভাবে হবে, তা নিয়ে সব মহলই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, এই নির্দেশের কথা সরাসরি গ্রাহকদের এখনও জানায়নি সরকার এবং তেল সংস্থাগুলি। কোনও প্রচারও হয়নি।আবার ডিস্ট্রিবিউটরদের হাতেও এ জন্য তৈরি হওয়ার সময় প্রায় নেই। প্রবীণ গ্রাহকদের এতে হয়রানি হবে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version