Child’s Care: সামান্য কটুক্তির ফল হয় মারাত্মক! যে কথা কখনই বলবেন না নিজের সন্তানকে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Child’s Care: বাচ্চারা সবথেকে বেশি নিজের মা-বাবার সান্নিধ্যে স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে পায়। কারণ তাদের কাছ থেকেই সন্তানরা সবথেকে বেশি ভালোবাসা পেয়ে থাকে। অবশ্য সেই ভালোবাসার পাশাপাশি জায়গা করে নেয় শাসনও। অভিভাবকরা শিশুদের মারধর বকাবকি করে থাকেন। এটা প্রতিপালনের অংশ বলা যায়। কিন্তু বাচ্চাদের সাথে অবশ্যই মেপে কথা বলবেন। যে কথা একবার আপনার মুখ থেকে বেরিয়ে গেল তা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই কোন রকম কটুক্তি এড়িয়ে চলবেন। আপনার কাছে সেটা স্বাভাবিক মনে হলেও আপনার শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে বিভিন্ন কটুক্তি।

অনেক সময়ই বাবা-মা ছোটখাটো ভুলের জন্য এমন কিছু কথা বলে থাকেন যেগুলি তাদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব না পেলেও শিশুদের মনে গেঁথে যায়। সেই কথাগুলি তাদের মন মস্তিষ্কে ভীষণভাবে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। তাই জেনে নিন কোন কোন কথা শিশুদের কখনই বলা উচিত নয়।

* নিজের সন্তানকে কখনও বোকা বলবেন না

প্রত্যেকটি বাচ্চার মানসিক বিকাশ এক রকম হয় না। যার কারণে প্রত্যেকের বুদ্ধিমত্তা সমান না হওয়াই স্বাভাবিক। কখনও কখনও বাবা মা নিজের সন্তানকেই বোকা বলে বসেন। কথায় কথায় তাঁর বোকামি তুলে ধরার চেষ্টা করেন। বোকা শব্দটা হয়তো অভিভাবকদের কাছে খুবই স্বাভাবিক একটা ছোট্ট শব্দ। কিন্তু এই একটা ছোট্ট শব্দ আপনার শিশুর আত্মবিশ্বাস ভীষণভাবে কমিয়ে দিতে পারে। তাই নিজের সন্তানকে সব সময় উৎসাহিত করুন। বিভিন্ন জিনিসের জন্য অবশ্যই তার ভুল তাকে ধরিয়ে দিন। কিন্তু প্রতি পদে খুঁত বের করে নয় বরং সোজা সরল ভাবে।

* বাচ্চাদের সঙ্গে ঠাট্টা তামাশা নয় : বাচ্চাদের মন একেবারেই স্বচ্ছ কাঁচের মত হয়। তাঁরা কথার মারপ্যাঁচ বোঝে না। তাই নিজের অজান্তে কখনও ঠাট্টা তামাশা শিকার বানাবেন না বাচ্চাদের। এটা তাদের মনে কষ্ট দিতে পারে। যার গভীর প্রভাব পড়তে পারে আপনার বাচ্চার মনে। তাই অভিভাবক হিসেবে বিষয়টি সবসময় মাথায় রাখবেন।

* সন্তানের আবেগকে অবহেলা নয়: আমরা অনেক সময় বাচ্চাদের মন খারাপ কিংবা তাদের কষ্ট পাওয়ার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখি না। কিন্তু একটা বড় মানুষের যেমন মন খারাপ হতে পারে বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু সেটা হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি। তাই কখনই এই বিষয়টি অবহেলা করবেন না। বরং কী কারণে তাঁর মন খারাপ ? কেন সে কষ্ট পেয়েছে ? সেগুলি জানার চেষ্টা করুন। যথাসাধ্য কথা বলার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শিশুর আপনার প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে।

* মিথ্যে শপথ করবেন না : ক্ষণিকের জন্য আমরা শিশুদের মন বদলে দিতে নানান ধরনের শপথ করে থাকি। কিন্তু পরবর্তীতে সেই শপথ আর রাখতে পারি না। কথা দিয়ে কথা না রাখা কিন্তু কোনোভাবেই ভালো নয় । তবে আপনি যে কথা দিলেন সেটা আপনার শিশুর মাথায় থাকে। সঠিক সময়ে যখন সে আপনার কাছ থেকে চাওয়া কোন জিনিস বা সময় পায় না তখন আপনার সম্পর্কে নেগেটিভ ছবি তাঁর মনে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়।

উপরে উল্লেখিত এই সমস্ত তথ্যগুলি একেবারেই সাধারণ জ্ঞানের জন্য। কোন কারনে যদি মনে হয় আপনার শিশুর সাথে আপনার সম্পর্ক খানিকটা জটিল হয়ে গিয়েছে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version