RBI Repo Rate Hike: এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়ল রেপো রেট, বাড়তে পারে ইএমআই এর বোঝা!

।। প্রথম কলকাতা ।।

RBI Repo Rate Hike: এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়ল রেপো রেট (Repo Rate)। স্বাভাবিকভাবেই এখন আমজনতার কপালে চিন্তার ভাঁজ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) এই সিদ্ধান্তে তাহলে কি বড়সড় প্রভাব পড়তে চলেছে? মাত্র কয়েক মাস আগে ২০২২ এর নভেম্বরের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া রেপো রেট বাড়িয়েছিল। ২০২৩ ফেব্রুয়ারিতে আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das) মনেটরি পলিসির বৈঠকের পর রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার পর গোটা দেশে রেপো রেট বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৫ শতাংশে। অপরদিকে রিভার্স রেপোরেট অপরিবর্তিত রয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে প্রকৃত জিডিপির বৃদ্ধির হার হতে পারে প্রায় ৭ শতাংশ। রিভার্স রেপোরেটের ক্ষেত্রে কোন বদল না আসায় তা ৩.৩৫ শতাংশ অবস্থান করছে। অপরদিকে স্থায়ী আমানত সুবিধার হার, প্রান্তিক স্থায়ী সুবিধা হার আর ব্যাঙ্ক রেট ৬.২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে পৌঁছেছে ৬.৭৫ শতাংশে। বহু মানুষ এখন চিন্তায় রয়েছেন। বিশেষ করে যারা গৃহঋণ নিয়েছিলেন তাদের ক্ষেত্রে এটি চাপের হতে পারে। এই সিদ্ধান্তে বাড়তে পারে ইএমআই আর ঋণের সুদের হার।

হঠাৎ করে আরবিআই রেপো রেট বৃদ্ধি করল কেন? এই নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। মুদ্রাস্ফীতির হাত থেকে বাঁচতে এমন সিদ্ধান্ত। ২০২২ এর অক্টোবর মাসে দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল প্রায় ৬.৭৭ শতাংশ। নভেম্বর মাসে তা কমে হয় ৫.৮৮ শতাংশ। আশঙ্কা করা হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি আবার বাড়তে পারে। তাই আরবিআইয়ের তরফ থেকে রেপো রেট বৃদ্ধি করা হল। এই নিয়ে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক টানা ৬ বার রেপো রেট বৃদ্ধি করল। রেপো রেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে। যেখানে ৬ সদস্যের কমিটির মধ্যে ৪ জন রেপো রেট বৃদ্ধির পক্ষে মত দিয়েছেন। ২০২৩-এ এমপিসির এটাই প্রথম বৈঠক।

রেপো রেট (Repo Rate) বলতে বোঝায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক গুলিকে ঋণ দেয় তাকে। আবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি যে হারে ঋণ দেয় তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট। এই রেট বাড়লে সরাসরি প্রভাব পড়ে ঋণ প্রক্রিয়ায়। যার কারণে বাড়তে পারে গাড়ি বাড়ির ইএমআই (EMI)।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version