Seema Haider: পাকিস্তানী সীমা ফাঁসিয়ে দিল এই ভারতীয় যুবককে! কার ছদ্মবেশে ধরে গোপন ডেরায়? পাকিস্তান এখনও চুপ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Seema Haider: পাকিস্তানী সীমা হায়দারের জন্য ফেঁসে যেতে পারেন ভারতের শচীন। প্রীতি-মারিয়া কার ছদ্মবেশে নেপাল থেকে ভারতে ঢুকেছিলেন সীমা? পাকিস্তানে ফিরতেই হবে সীমা হায়দারকে উঠছে ডাক। ফাঁদ পাতা হয়েছিল অন্য কিন্তু উল্টে যায় প্লট। একটাও নয় পাকিস্তান সরকার থেকে এখনও পর্যন্ত একটাও বিবৃতি নয়৷ কেন? পাকিস্তানের একটা নাগরিককে বাঁচাতে সেদেশের সরকার একবারও চেষ্টা করবে না? পাকিস্তান এমব্যাসিতে পাঠানো হয়েছে সীমার সমস্ত ডকুমেন্ট। আপাদমস্তক সত্যিটা সামনে চলে আসছে। পাকিস্তানে না ফেরার জন্য এবার বাচ্চাদের দোহাই দিচ্ছেন সীমা। বলছেন পাকিস্তানে ফিরলে তার বাচ্চাদের আস্ত রাখা হবে না। ভারত আমাকে বিশ্বাস করুক আমি সত্যি কথা বলছি। বারবার মিডিয়ার কাছে আর্জি পাকিস্তানী এই মহিলার।

কিন্তু কথার সঙ্গে কাজ না মিললে বিশ্বাস, ভরসা আসবে কোথা থেকে। শচীন মীনাকে পুরোপুরি ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন সীমা হায়দার? নেপালের বাসের টাকা পেমেন্ট থেকে নেপালের হোটেলের ডকুমেন্ট শচীন মীনার নাম সব জায়গায় কি সীমাই লিখতে বলেছিলেন? অনেকেই বলছেন সীমার নেপালের একের পর কুকীর্তিই সন্দেহ জোরালো করছে। ্জানতে পারা যাচ্ছে একের পর এক ছদ্মনাম ব্যবহার করেই ভারতে ঢুকেছিলেন সীমা। নেপালের বাসের কন্ডাকটরকে প্রীতি বলে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন সীমা। বলেছিলেন তিনি একজন ভারতীয় মহিলা। এদিকে সীমার পাবজি অ্যাকাউন্টের নাম ছিল মারিয়া খান। কেন সেখানে নিজের নাম ব্যবহার করেননি সীমা? দিল্লি এনসিআরের একের পর এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফাঁসানোর চেষ্টা। হয়ত তাদের এটুকু জ্ঞান বুদ্ধি ছিল তাই কেউ সেই জালে পা দেননি৷

সূত্র বলছে কয়েক মাস ধরে লাগাতার চলছিল এমনই চেষ্টা৷ কিন্তু ফাঁদে পা দিলেন একমাত্র শচীন৷ গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে তদন্তকারী প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় একটুও ঘাবড়াননি সীমা। যেন অনেক বেশি প্রফেশনাল তিনি এই ক্ষেত্রে। মাথা ঠান্ডা রেখেই একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকেন সীমা। অনেকেই বলেছেন আগে থেকেই কি এই ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল৷ তবে ২২ বছরের শচীন মীনা কীভাবে ফেঁসে গেলেন জানুন৷ সীমার কথা অনুযায়ী শচীনই তাঁকে ভারতের পথ আসার পথ দেখিয়েছিল শচীনই সীমাকে বলে দিয়েছিল নেপালে আসার সবথেকে সস্তা বিমান কোনটা। তারপর কীভাবে কোন পথে নেপাল থেকে ঢুকতে হবে ভারতে। পুরোটাই গাইড করে ছিলেন শচীন মীনা।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন এমনটা না হয়ে যায় পাকিস্তানী মহিলাকে ভারতের অবৈধ প্রবেশ করানোর দায়ে শচীন মীনার জেল হয়ে গেল, আর এদিকে সীমাকে পাঠিয়ে দেওয়া হল পাকিস্তানে। আর এই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সীমা হায়দারকে পাকিস্তানে পাঠানো হবে কিনা তা নিয়ে এখন রহস্য জারি।
পাকিস্তান এমব্যাসিতে পাঠানো হয়েছে সীমার সমস্ত ডকুমেন্ট। এবার দেখার সেখান থেকে ঠিক কি উত্তর আসে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version