।। প্রথম কলকাতা।।
Bangladesh: একের পর এক কামাল দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। এবার দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর মাস্টার প্ল্যান। কি করতে চাইছে টা কি দেশটা? একটা পদ্মা সেতুই দেশটার দর বাড়িয়ে দিয়েছে। ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে আলাদা জায়গা করে নিচ্ছে। বাংলাদেশের ঠিক কোথায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু হবে? কতটা সুবিধা পাবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ? অপেক্ষা করছে বড়সড় ধামাকা।
প্রথম পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জ আর শরীয়তপুর এলাকাসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলকে ঢাকার সঙ্গে এক রেখায় যুক্ত করেছে। এবার জোরালো হচ্ছে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর স্বপ্ন। আপাতত আগামী বছর জুনের মধ্যে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর সমীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। সমীক্ষা শেষ হলেই, ঠিক করা হবে কোন কোন এলাকা দিয়ে সেতুর নতুন সংযোগ সড়ক তৈরি হবে। এর আগেও দেশটির সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর মুখে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর কথা শোনা গিয়েছিল। গতবছরই দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের সুযোগ নিতে চেয়েছিল জাপান। এই সেতু নিয়ে একটা প্রাক সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছিল অনেক আগেই, এখন তার উপর ভিত্তি করে পর্যালোচনা চলছে। রাজনৈতিক এবং আর্থিক বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে কাজ শুরু হবে। দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর পরিকল্পনা কিন্তু সেই ১৯৯৯ সালের। একটু ফ্ল্যাশব্যাকে চলে যান। ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সমীক্ষা শুরু হয়। তখন দুটো পথ ঠিক করা হয়েছিল। একটা মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত। যেখানে এখন পদ্মা সেতু রয়েছে। সেই সময় আর একটা পথ বেছে নেওয়া হয়। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে রাজবাড়ির দৌলতদিয়া পর্যন্ত। আপাতত এই জায়গাতেই দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের ভাবনা চিন্তা করছে বাংলাদেশ।
নতুন সেতুটা কেমন হবে? নিশ্চয়ই মনে আগ্রহ হচ্ছে। আপাতত সেতুটি নিয়ে তিন ধরনের অ্যালাইনমেন্ট আলোচনায় রয়েছে। প্রথমত, সেতুটি y আকৃতির হতে পারে। যার তিনটি প্রান্ত থাকবে তিনটি জেলায়। মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি আর পাবনায়। দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১২ কিলোমিটার। দ্বিতীয়ত, সেতুটি হতে পারে সেভেন আকৃতির। সেক্ষেত্রে খরচ অনেকটা কম হবে, প্রায় ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৫ কিলোমিটার। যদি শুধু দৌলতদিয়া আর পাটুরিয়ার মধ্যে সেতু হয় দৈর্ঘ্য হবে ৪.৮ কিলোমিটার। যদিও এখনো ঠিক হয়নি, কোন আকৃতির সেতু নির্মাণ করা হবে। কারণ সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ নদী শাসন। আর যাই হোক, জোর করে নদী শাসনের কাজ করা যায় না। প্রকৃতির কথা ভেবেই দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর কথা ভাববে বাংলাদেশ।
আপাতত সমীক্ষার কাজ চলছে। এই নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখিও হচ্ছে। নতুন স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করেছে বাংলাদেশের মানুষ। আর কেনই বা করবে না বলুন তো ? দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট একটা নদী ঘেরা দেশ যেভাবে স্বনির্ভর হওয়ার পরিকল্পনা করছে তা কটা দেশই বা পারে ? আফ্রিকার বহু দেশ আছে সম্পদ থাকতেও ব্যবহার করতে পারে না। তকমা পাচ্ছে দরিদ্র দেশ হিসেবে। আর বাংলাদেশ বুঝে গিয়েছে নিজের জায়গা পোক্ত করতে গেলে নিজের উপর বেশি ভরসা রাখা জরুরি। প্রথম পদ্মা সেতুর এক বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গেল। পদ্মা সেতু তৈরির সাহসী সিদ্ধান্ত কিভাবে যে দেশটাকে বদলে দিয়েছে তা তো স্বচক্ষে দেখতেই পাচ্ছেন। দূরত্ব কমলেই জীবন বদলে যায়। উপলব্ধি করছে বাংলাদেশের একুশ জেলার মানুষ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম