Round up 2023: বিশ্বজুড়ে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলি ডেকে এনেছিল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, ঢুঁ মারুন বছর শেষে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Round up 2023: প্রতি বছরই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আমাদের দেশে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বিপর্যয় মোকাবিলায় হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। মূলত ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। প্রকৃতির রোষের কাছে চিরকালই অসহায় মানুষ। প্রতি বছরই বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে মৃত্যু হয় বহু মানুষের, ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তাঘাট,ঘরবাড়ির। ব্যহত হয় স্বাভাবিক জনজীবন। ২০২৩ সাল তা থেকে বাদ গেল না। চলতি বছর সাক্ষী থাকল অনেকগুলো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের। তার মধ্যে কোনও কোনওটা ব্যাপকভাবে ধ্বংসলীলা চালাল।

১) ভূমিকম্প: চলতি বছর দুটি ভয়াবহ ও বিধ্বংসী দুটি ভূমকিম্প দেখেছে বিশ্ব। একটি তুরস্ক ও অপরটি হয় মরক্কোয়। একটি ৬ ফেব্রুয়ারি এবং উন্নতি ৮ সেপ্টেম্বর। এই দুটি ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যু হয় লক্ষাধিক মানুষের। ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। অন্যদিকে, ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬.৮ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ১৯৬০ সালের পর এটি ছিল দেশটিতে হওয়া সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প।

২) লিবিয়ায় ঝড় ও বন্যা: চলতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল আঘাত হানে লিবিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলে। দুটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে প্রবল বন্যা দেখা দেয়। আর এ ঝড় ও বন্যার ফলে প্রায় ১১ হাজার জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি নিখোঁজ হয়ে যান প্রায় কয়েক হাজার জন।

৩) পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ভূমিধস: ভারী বর্ষণের ফলে চলতি বছরের জুলাই মাসে বন্যা ও ভূমিধস হয়। ঘটনার জেরে আফগানিস্তানে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে পাকিস্তানে প্রবল বর্ষণের পর ভূমিধসে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। পরবর্তী পর্যায়ে ধাপে ধাপে বেশ কয়েকবার প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের দেখা মেলে। যার জেরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয় ২১৯।

৪)কানাডায় দাবানল: চলতি বছরে আগস্ট মাসে কানাডায় ভয়াবহ দাবানল শুরু হয়। কানাডার দক্ষিণ অংশে রয়েছে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। সেই বনাঞ্চলের প্রায় ৩৮ লক্ষ হেক্টর জঙ্গল এলাকায় আগুন লাগে। কানাডা সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল প্রবল গরমের জেরেই এই দাবানল লাগে।

৫) ভারতে অতিবৃষ্টিতে বন্যা: হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, দিল্লি সহ উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর বিভিন্ন অংশে কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হয়। এর ফলে তীব্র বন্যায় মৃত্যু হয় বেশ কয়েক জনের। ভূমিধ্বস ও আকস্মিক বন্যা হয় হিমাচলের পার্শ্ববর্তী উত্তরাখণ্ডেও। টানা দুদিনের বৃষ্টিতে চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে ব্যপক বন্যা দেখা দেয়। যার জেরে সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছিল।

৬) বাংলায় ঘূর্ণিঝড়: আরব সাগরে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’। পুজোর প্রাক্কালে দেখা মিলেছিল ঘূর্ণিঝড়ের। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে ‘মোখা’। মে মাসে দেখা মিলেছিল এই ঘূর্ণিঝড়ের। ভারতের দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এই ঘূর্ণিঝড় বেশ কয়েকদিন তান্ডবলীলা চালিয়েছিল, যার প্রভাব পড়েছিল বাংলাতেও।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version