ছোট্ট হলুদ পাখি, পায় ভয়ঙ্কর ঝড়ের সংকেত, আশ্চর্য ক্ষমতায় বেঁচে যাবে পৃথিবী!

।। প্রথম কলকাতা ।।

হলুদ রঙা ছোট্ট পাখি, যা হার মানিয়ে দেবে স্যাটেলাইটকেও। একাই করে দিতে পারে ১০০ জন আবহাওয়াবিদের কাজ। মানুষের যে ক্ষমতা নেই, সেই ক্ষমতা আছে এই ছোট্ট পাখিটার। কখন ঘূর্ণিঝড় হবে তার আগেই সংকেত পৌঁছে যায় এই পাখির কাছে। শুনতে অবাক লাগলেও এইটাই সত্যি। সবটাই ইনফ্রাসাউন্ডের কামাল। ভারতেও আছে এই পাখি। কোথায় থাকে? এমনটা কীভাবে সম্ভব? জানুন তবে।

আবহাওয়াবিদরা আবহাওয়ার সঠিক তথ্য দিতে মাঝেমধ্যেই হিমশিম খান। অথচ ছোট্ট গোল্ডেন উইং ওয়ার্বলার কাছে এই কঠিন কাজ কোন ব্যাপারই নয়। রীতিমত ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই পেয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়ের আভাস। দৈর্ঘ্য মাত্র ১১ থেকে ১২ সেন্টিমিটারের। ওজন বড় জোর ৭ থেকে ১২ গ্রাম। এদের দেখা মেলে মূলত মধ্যে এবং দক্ষিণ আমেরিকাতে। এই পাখির আশ্চর্য ক্ষমতা মানুষ আগে জানত না। মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই পাখি নিয়ে গবেষণা করতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অবাক হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। এই ছোট্ট পাখির যে এত আশ্চর্য ক্ষমতা থাকতে পারে এটা কে জানত? গোল্ডেন উইং মূলত গোটা শীত জুরের দক্ষিণ আর মধ্য আফ্রিকায় দিন কাটায়। ডিম পাড়া আর সন্তান প্রতিপালনের জন্য চলে যায় উত্তর-পূর্ব আমেরিকা। যে সময় টেনেসিতে পাখিগুলো থাকার কথা সেই সময় তারা সেখানে ছিল না। এলাকায় কোন গোল্ডেন উইং দেখতে পাওয়া যায়নি। কোন এক অজ্ঞাত কারণে পাখিগুলো এলাকা ছেড়ে প্রায় ৯০০ মাইল দূরে চলে গিয়েছিল।

আসল রহস্যটা সামনে আসে কয়েকদিন পর। পাখিগুলো টেনেসি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরই সেখানে আছড়ে পড়ে বিধ্বংসী ভয়ঙ্কর টর্নেডো। প্রাণ হারান ৩৫ জন মানুষ। ঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে পাখিগুলো আবার ওই এলাকায় ফিরে আসে। বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগাম আভাস পেয়েছিল এই গোল্ডেন উইং ওয়ার্বলার। গবেষকদের মতে, ঝড় থেকে এক প্রকার ইনফ্রাসাউন্ড বেরোয়, যা মানুষের পক্ষে শোনা সম্ভব নয়। কারণ এর কম্পাঙ্ক খুবই কম। অথচ সেই শব্দ শুনতে পায় গোল্ডেন উইং ওয়ার্বলার। এই পাখিদের পাশাপাশি কচ্ছপ সহ বেশ কয়েকটি প্রাণীদের এই ক্ষমতা রয়েছে। যদি এই পাখিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে বড় দুর্যোগের হাত থেকে বেঁচে যাবে পৃথিবী। কমবে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ। এই পাখি কিন্তু ভারতেও রয়েছে। যদিও সেগুলো গ্রিন ওয়ার্বলার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version