যে সম্পদের আলোয় ছয়লাপ ভারত! ২৫ হাজারের চোখ আটকে অযোধ্যায়, দিওয়ালিতেই সুপার অ্যাকশন ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

এই সম্পদের আলোয় ভরে যাচ্ছে ভারত। অযোধ্যায় ছেয়ে আছে বাংলার অহংকার‌। সবার অলক্ষ্যে কীসের পাহাড় গড়লেন নরেন্দ্র মোদী? ১ টা দিয়াতেই লুকিয়ে ভারত জয়ের ফর্মুলা? ২৫ হাজারের চোখ ঘুরবে, দিওয়ালিতেই বিশ্বের বুকে ইতিহাস গড়বে রাম মন্দির। বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশে! ঘিরে ধরেছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স? সুপার অ্যাকশনের তোরজোড়। ২২ শে জানুয়ারির আগেই গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন। দিওয়ালিতেই উত্তরপ্রদেশের মাটি ছোঁবেন রামচন্দ্র?বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে হিন্দু ভোটের মেরুকরণের লক্ষ্যে অযোধ্যার এই সম্পদ বিজেপির হাতিয়ার। জানুয়ারি অনেক দূরে, নভেম্বরেই শুরু খেল। রামের আদর্শে দেশ গড়ার আগে বিশ্বের বুকে রেকর্ড গড়ছে ভারত। যোগী সরকারের আয়োজন দেখুন, চোখ ধাঁধিয়ে যাবে।

এবছর “দ্বীপোৎসবে” ২১ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে অযোধ্যার ঘাটগুলোকে আলোকিত করার নকশা। না এখানেই শেষ নয় উৎসব চলাকালীন আরও একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার জন্য ২৫ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবককে মোতায়েন করা হবে বলেও খবর। ‘রাম কি প্যারি ঘাট’ এবং ‘চৌধুরী চরণ সিং ঘাট’-সহ মোট ৫১ টি ঘাটে মোতায়েন করা হবে স্বেচ্ছাসেবকদের। আগেভাগে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে অযোধ্যাকে। তাহলে কী গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে এবার জ্বলজ্বল করবে অযোধ্যা? দীপাবলীর আগে সেজে উঠেছে অযোধ্যা, সেজে উঠেছে রাম মন্দির। রাম মন্দিরের গায়েও আলোর ছটা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামলেই আলো ঝলমল করে উঠছে!আর এই আলোকমালার সঙ্গে নাম জড়িয়ে গিয়েছে বাংলার। বাংলা থেকে আলো গিয়েছে সুদূর অযোধ্যায়। আর, বাংলার আলোর কাজ মানেই চন্দননগর।

বাংলা অযোধ্যা মিলেমিশে একাকার। রামমন্দিরের গায়ে জ্বলজ্বল করছে চন্দননগরের আলোক শিল্পীর দক্ষতা। শুধু মন্দির বা রাস্তার ধার নয়। অযোধ্যার নদীর ধার রাস্তাঘাট মন্দিরের আশপাশ। এমনকী চিত্রকূট এলাকাতেও লাগানো হয়েছে চন্দননগরের আলো। একদিকে ২১ লক্ষ প্রদীপ, অন্যদিকে চন্দননগরের আলোকসজ্জা‌। এই অযোধ্যাকে চেনা সহজ হবে না। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কোনো পদদলিত পরিস্থিতি হওয়া উচিত নয়। যে পুলিশ জনগণের আবেগ অনুভূতির কথা মাথায় রেখে কাজ করবে। এবারের আয়োজনে ত্রুটির কোন জায়গা থাকবে না। অযোধ্যার দীপোৎসবে, ৪টি দেশ ও ২৪টি রাজ্যের রামলীলা মঞ্চস্থ হবে। ভগবান শ্রী রামের অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন, ভরত মিলাপ, শ্রীরামের রাজ্যাভিষেকের প্রতীকী চিত্রও থাকবে। সরযূ নদীর আরতিও হবে। যে অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে পারবে গোটা অযোধ্যা। দ্বীপোৎসবের সরাসরি সম্প্রচার দেখ যাবে বিভিন্ন প্রান্তে বসানো এলইডি টিভি তে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version