।। প্রথম কলকাতা ।।
Last Road in Earth: রহস্যে মোড়া পৃথিবীর শেষ রাস্তা, যেখানে গেলে আপনার চারিদিকে ছেয়ে যাবে একরাশ বিপদ। এই পথে চলতে গেলে আপনাকে প্রতি মুহূর্তে ঠোক্কর খেতে হবে। অসময়ে এই রাস্তায় গেলে ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়তে পারেন। পৃথিবীর শেষ রাস্তা (Last Road in Earth) কথাটা শুনলেই বুকের মধ্যে কেমন ছ্যাঁত করে ওঠে। মনের মধ্যে নানান প্রশ্ন উঁকি দেয়, কেমন হবে পৃথিবীর শেষ রাস্তা ? তৎক্ষণাৎ মাথার মধ্যে ঘোরাফেরা করতে থাকে নানান কৌতুহল। তারপর কিছুক্ষণ পর ঘোর কাটতেই চলে আসে নানান যুক্তি। কীভাবে সম্ভব পৃথিবীর শেষ রাস্তা হওয়া, কারণ পৃথিবী গোল, এটাই ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছেন। সে ক্ষেত্রে পৃথিবীর শেষ রাস্তা আদৌ আছে ? তবে জেনে রাখুন পৃথিবী শেষ রাস্তা রয়েছে, সেই রাস্তাটি হল ইউরোপের E69। রাস্তা দিয়ে আপনি একা হেঁটে যেতে পারবেন না , কারণ চারিদিকে অজানা বিপদ। এই এই রাস্তায় একা হাঁটার জন্য প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই।
বহু অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী এই রাস্তায় একবারের জন্য হলেও হাঁটতে চান। প্রতিবছর বহু পর্যটক এখানে ভিড় জমান। নরওয়ের এই রাস্তাকে বলা হয় পৃথিবীর শেষ রাস্তা। অত্যন্ত দীর্ঘ এই রাস্তাটি আলো-অন্ধকারে মোড়া, চারিদিকে সাদা বরফে ঢাকা। একা হাঁটতে গেলে গা ছমছম করবে, একথা একদম নিশ্চিত। নরওয়ের এই E69 তকমা পেয়েছে পৃথিবীর শেষ রাস্তা হিসেবে। যদিও সেই হিসেবে ধরলে পৃথিবীতে এই ধরনের প্রচুর রাস্তা রয়েছে, কিন্তু সেই রাস্তার মধ্যে বিশেষ তকমা পেয়েছে এই E69 ।
রাস্তাটি চলে গেছে উত্তর মেরুর একেবারে গা ঘেঁষে। অনেকে মনে করেন, এই রাস্তার পর নাকি আর কিছু নেই , রাস্তাটি মিশে গিয়েছে অসীমে। দৈর্ঘ্য প্রায় ১২৯ কিলোমিটার। এই রাস্তা পেরোতে গেলে সামনে পড়বে প্রায় ৫ টি টানেল। যার মধ্যে সবথেকে দীর্ঘতম টানেলটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ কিলোমিটার , এটির নাম নর্থ কেপ। এটি গিয়ে পৌঁছেছে সমুদ্র তলদেশের একেবারে ২১২ মিটার গভীরে। আপনি যদি এই রাস্তা দিয়ে যান, তাহলে চোখে পড়বে চারিদিকে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তার সাথে উপরি পাওনা হিসেবে পাবেন সমুদ্র আর বরফ। এই রাস্তাটি তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল ১৯৩০ সালে এবং চূড়ান্তভাবে এই রাস্তাটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৯৩৪ সালে। ১৯৯২ সালে এসে রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি করা হয়।
কেন একা যেতে বারণ ?
এই রাস্তায় একা যাওয়ার বেশ কিছু ভয়ানক কারণ রয়েছে। এখানে গ্রীষ্মকালেও চারিদিকে বরফে ঢাকা থাকে, শীতকালের তাপমাত্রা থাকে প্রায় -২৬ডিগ্রি থেকে -৪৩ ডিগ্রির মধ্যে । যেহেতু এই রাস্তাটি সমুদ্র উপকূলের কাছে তাই যে কোনো মুহূর্তে আচমকাই আবহাওয়া বদলে যেতে পারে। হঠাৎ হঠাৎ উদয় হয় অতিরিক্ত তুষারপাত কিংবা বৃষ্টি। কখনো বা দেখা দেয় প্রবল তুষারঝড়। এই রাস্তায় যদি আপনি গাড়ি চালাতে চান, তাহলে মারাত্মক বিপদের মুখোমুখি হতে পারেন। ভয়ানক ঠান্ডা, তার উপর প্রচন্ড গতিতে বাতাস বয়। শীতকালে অতিরিক্ত বরফের কারণে বেশিরভাগ সময় রাস্তা বন্ধ থাকে। আপনার মনে নানান প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে পৃথিবীর এই শেষ রাস্তা নিয়ে। আপনার মনে হতেই পারে, যে বাড়ির কাছে থাকা রাস্তাটিকেও তো শেষ রাস্তা বলা যেতে পারে। আসলে নরওয়ের এই E69 কে কেন পৃথিবীর শেষ রাস্তা বলা হল, তার যথাযথ কারণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম