National Mathematics Day: রামানুজনের রক্তে গণিতের ভূত, নেশার মতো কষতেন সূত্র ! রইল অজানা টুকরো কথা

।। প্রথম কলকাতা ।।

National Mathematics Day: গণিতকে (Mathematics) কমবেশি অনেকেই ভয় পান, আর যারা ভয় পান না তারা মজার ছলে একের পর এক কঠিন গণিত কষে যান। আত্মস্থ করে নেন গণিতের প্রতিটি স্টেপ। যাদের গণিত করতে ভালো লাগে আর যাদের ভালো লাগে না এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। আসলে যাদের ভালো লাগে না তার মূল কারণ হল গণিত ভীতি। গণিতকে তারা মনে করেন কঠিন একটি বিষয়, যা সহজে বোধগম্য হয় না। এই কঠিন বিষয়কে সহজ সরল করে বুঝিয়েছিলেন ভারতের প্রতিভাবান গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস রামানুজন (Srinivasa Ramanujan)। তাঁর মাথায় সবসময় কাজ করতো গণিতের নানান সমস্যা, সেগুলির তিনি সমাধান করে তবেই ছাড়তেন। প্রতিবছর ২২শে ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিনে পালন করা হয় ‘জাতীয় গণিত দিবস'(National Mathematics Day)।

২০১২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং শ্রীনিবাস রামানুজনের (Ramanujan) ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছিলেন, প্রতিবছর ২২শে ডিসেম্বর পালিত হবে ‘জাতীয় গণিত দিবস’। আদতে শ্রীনিবাস রামানুজন ছিলেন এক কথায় অসাধারণ। প্রথাগত শিক্ষাকে সেভাবে ভালোবাসেননি, নিজের মতো করে প্রাণপণে আঁকড়ে ধরেছিলেন গণিতকে। তারপর একে একে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র আবিষ্কার করেছেন গাণিতিক বিশ্লেষণ, অসীম ধারা ,সংখ্যাতত্ত্ব প্রভৃতির ক্ষেত্রে।

পড়ায় মন বসত না, পাঠশালা থেকে পালিয়ে আসতেন

এই রামানুজন যখন ছোট ছিলেন তখন তিনি খুব শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। পাঠশালা গেলেই খুব একটা কারোর সাথে কথা বলতেন না। চুপ করে একা একা বসে থাকতেন। বেশিরভাগ দিন পাঠশালা থেকে পালিয়ে আসতেন। ছেলের পাঠশালা থেকে পালানোর ব্যাপারটি নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন তাঁর বাবা। তিনি ভেবেছিলেন তাঁর ছেলের হয়তো আর পড়াশোনা হবে না। তিনি অনেক চিন্তা করে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন যাতে রামানুজন স্কুল থেকে আর পালাতে না পারেন। পুলিশ কনস্টেবলকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল যেই রামানুজন পালিয়ে যাবে তখন যেন তাঁকে ভয় দেখানো হয়। এই ঘটনার পর থেকে সত্যিই রামানুজন আর পাঠশালা থেকে পালিয়ে আসেননি।

নিজের মতো আবিষ্কার করতেন সূত্র

বর্তমানে যে বয়সে বাচ্চাদের অঙ্কের নাম শুনলেই রীতিমত কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে, সেই বয়সেই রামানুজন সমাধান করে ফেলতেন বড় বড় অঙ্কের। নিজের মতই আবিষ্কার করতেন অঙ্কের ফর্মুলা। অভাবের সংসারে বাধ্য হয়েছিলেন কেরানির চাকরিতে জয়েন করতে। দুপুরে সবাই যখন লাঞ্চে ব্যস্ত থাকত তখন তিনি অফিস ঘরের এক কোণে ব্যস্ত থাকতেন সংখ্যার রহস্য উন্মোচনে। কিন্তু রামচন্দ্র রাও সেই প্রতিভাকে নষ্ট হতে দেননি। তিনি রামানুজনের কথা বলেছিলেন মাদ্রাজ মহা বিদ্যালয়ের মি. গ্রিফিথকে। তারপর থেকেই একের পর এক প্রকাশিত হতে থাকে সর্বসমক্ষে রামানুজনের অসাধারণ প্রতিভা। তিনি প্রথম ভারতীয়, যিনি কেমব্রিজের আমন্ত্রণ পাওয়ার পর বিদেশে আসেন এবং কিছুদিন পরেই ট্রিনিটি কলেজের ফেলোশিপ অর্জন করেন। তিনি ম্যাথেমেটিক্যাল অ্যানালিসিস, নম্বর থিওরি, ইনফাইনাইট সিরিজ এবং ফ্র্যাকশনের উপর একাধিক কাজ করেছেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version