Jyoti Maurya: সাফাইকর্মী স্বামী লোন নিয়ে এসডিএম বানালেন স্ত্রীকে, প্রতিদানে মিলল শুধুই চোখের জল!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Jyoti Maurya: রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক যুবক অসহায়ের মত কাঁদছেন । ঝড়ের গতিতে মানুষ শেয়ার করছে সেই ভিডিও। লোকটার চোখের জলকে মিথ্যে বলতে পারবেন না। কাঁধে একরাশ অপবাদের বোঝা। যাকে সবথেকে বেশি ভালোবেসে ছিলেন, আজ সেই বড় শত্রু। একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। সংসার করলেন প্রায় ১৩ বছর। হঠাৎ ১৩ বছর পর স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক আদায়ের অভিযোগ করেন। অথচ সেই স্বামী একজন পেশায় সাফাই কর্মী এবং তার কষ্টের উপার্জন দিয়ে স্ত্রীকে পড়াশোনা শিখিয়েছেন। এসডিএম বানিয়েছেন। স্ত্রীয়ের কোচিংয়ের জন্য নিয়েছেন মোটা টাকার লোন। সোশ্যাল মিডিয়ার নানান প্ল্যাটফর্ম গুলোতে একটু উঁকি দিলেই দেখতে পাবেন, এই ভিডিওটা। ভীষণ ভাইরাল হচ্ছে। ওই ব্যক্তির কষ্টের কান্না সাজানো বলে মনে হচ্ছেন না। তার ১৩ বছরের সংসারে বাসা বেঁধেছে অবিশ্বাস। স্ত্রীর মন পড়েছে অন্য পুরুষের উপর। উপরন্তু তার নামে চাপানো হয়েছে মিথ্যা অপবাদ।

Nesrick News এর তরফ থেকে এই দম্পতির একটা কল রেকর্ড ফাঁস করা হয়েছে। যদিও এর সত্যতা বিচার করেনি ‘প্রথম কলকাতা’। কথোপকথন শুনে কিছুটা আন্দাজ করাই যায়, যে স্বামী কষ্ট করে পড়াশোনা শিখিয়েছিলেন আজ তার প্রতি ভীষণ বিরক্ত স্ত্রী। স্বামী অলোক কুমার মৌর্য অভিযোগ করেছেন, গাজিয়াবাদের হোম গার্ড কমান্ড্যান্ট হিসেবে নিযুক্ত মণীশ দুবের সঙ্গে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি দুজনকে তাদের সরকারি বাসভবনে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেও ফেলেন। এরপর থেকে এই তার স্ত্রী জ্যোতি মৌর্য ডিভোর্স দেয়ার জন্য ফোনে হুমকি দিতে থাকেন। অলোককে হত্যা করার হুমকিও দেওয়া হয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দম্পতি বিয়ে করেছিলেন ২০১০ সালে। জ্যোতি বিয়ের পরেও পড়াশোনা করতে দুজনে চলে আসেন প্রয়াগরাজে। জ্যোতি ২০১৬ সালে পরীক্ষায় পাস করেন। নিযুক্ত হন এসডিএম পদে। বর্তমানে তার পোস্টিং রয়েছে বেরেলিতে, এর আগেও তিনি কৌশাম্বি, প্রতাপগড় এবং লখনৌতে কাজ করেছেন। জ্যোতির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অলোক। দুর্নীতির প্রমাণ দিয়ে তিনি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগের সঙ্গে স্ত্রী এবং তার প্রেমিকের মধ্যে হওয়া হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের প্রমাণ জমা দিয়েছেন পুলিশের কাছে।

অপরদিকে স্ত্রী জ্যোতি কি বলছেন? তার কথায় বিয়ের আগে অলোক বলেছিলেন, তিনি একজন গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসার কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন সাফাই কর্মী। তার স্বামী হোয়াটস অ্যাপ হ্যাক করে সেই চ্যাট ভাইরাল করেছেন। শুধু তাই নয়, তার কাছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা এবং একটা বাড়ি দাবি করেছেন। কিন্তু অলোক বলছেন অন্য কথা। দাবি, স্ত্রী এবং তার প্রেমিক তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। ২০০৯ সালে পঞ্চায়েত রাজ বিভাগে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন । ২০১০ সালে তার সঙ্গে জ্যোতির বিয়ে হয়। তিনিই নিজের টাকা খরচ করে জ্যোতিকে পড়াশোনা করিয়েছেন। তাহলে বিয়ের ১৩ বছর পর হঠাৎ কেন যৌতুকের দাবি করতে যাবেন? তার দাবি অনুযায়ী, যৌতুকের মিথ্যা মামলা করেছেন তার স্ত্রী। তার উপর আসছে, একের পর এক হুমকি। আপাতত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version