IAS Himanshu Gupta: চায়ের দোকানে কাজ করা ছেলেটা আজ আইএএস অফিসার, জার্নিটা সত্যি অনুপ্রেরণার

।। প্রথম কলকাতা ।।

IAS Himanshu Gupta: একটা সময় যে ছেলেটা চায়ের দোকানে কাজ করত, সঙ্গে ছিল হাড়ভাঙা পরিশ্রম, আজ সেই ছেলেটাই দিল্লির উচ্চপদস্থ আমলা। চা ওয়ালা সেই ছেলেটা আজ আইএএস অফিসার। লড়েছেন চরম অভাবের সঙ্গে, কিন্তু হেরে যাননি। হার কাকে বলে, এই ছেলে জানেনই না। ইনি হিমাংশু গুপ্ত। চায়ের দোকান থেকে সোজা আইএএস অফিসার, জার্নিটা কেমন ছিল? কীভাবে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে দিলেন? তাও আবার কোন রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই! জানলে মনে লড়াই করার শক্তি পাবেন। জীবনের লড়াইয়ে আপনি যদি ক্লান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে বাস্তবের এই গল্পটা আপনার জন্য। শুনুন তবে।

হিমাংশুর বাবা পেশায় ছিলেন দিন মজুর। যখন কাজ পেতেন না, তখন সংসার চালাতে চায়ের দোকান দিতেন। হিমাংশুর বয়স তখন অনেক কম। বাবাকে সাহায্য করতে গরম চায়ের কাপ পৌঁছে দিতেন ক্রেতাদের হাতে। আসল বাড়ি উত্তরাখন্ডে। কিন্তু অভাবের সংসারে ছোটবেলায় চলে আসেন উত্তরপ্রদেশে মামার বাড়িতে। পড়াশোনাটা শুরু হয় স্থানীয় একটা সরকারি স্কুলে। পরে তার বাবা তাকে ভর্তি করান একটা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। যে স্কুলটা ছিল তার বাড়ি থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূর। শুধুমাত্র স্কুলে পড়ার জন্য তাকে রোজ ৭০ কিলোমিটার রাস্তা সফর করতে হতো।

প্রশিক্ষণ ছাড়া আইএএস অফিসার হওয়া কিন্তু মুখের কথা নয়। ভারতের ইউপিএসসি পরীক্ষা যথেষ্ট টাফ। এই পরীক্ষায় পাশ করতে গেলে প্রচুর পরিশ্রমের দরকার। কিন্তু নিত্য অভাবের সংসারে নোট কিনবেন কিভাবে, আর প্রশিক্ষণই নেবেন কিভাবে? হিমাংশু ভরসা রেখেছিলেন শুধুমাত্র নিজের উপর। ইন্টারনেট দেখে দেখে প্রস্তুতি শুরু করে দেন। নিজের সাফল্যের জন্য তিনি তার পরিবারের সমর্থনকে বারংবার মনে করেন। কারণ হিমাংশুর পরিবার তাদের ছেলের উপর বিশ্বাস করেছিল। আর তাইতো এই কঠিন লড়াইটা লড়ার এত সাহস পেয়েছেন তিনি। ২০১৮ থেকে ২০২০, পরপর তিনবার ইউপিএসসি এর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন। শেষবার পৌঁছান নিজের কাঙ্খিত লক্ষ্যে। হিমাংশু দেশের জন্য সবসময় কাজ করতে চাইতেন। তাই তো বিদেশে না গিয়ে দেশের কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জানলে আশ্চর্য হবেন, একসময় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া আর মোটা টাকার স্কলারশিপের সুযোগ পান। কিন্তু তিনি ঠিক করেন, পাকাপাকিভাবে দেশেই থাকবেন। দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন। যদিও ছোট থেকে তারা আইএএস হওয়ার স্বপ্ন কখনোই ছিলেন না। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত ইউপিএসসি পরীক্ষার সম্পর্কে সেভাবে কোন ধারণাও ছিল না। কলেজে পড়ার জন্য যখন দিল্লিতে আসেন তখন বুঝতে পারেন ব্যস্ততা কাকে বলে। দিল্লির মানুষ কিভাবে সব সময় ছুটছে। জানতে পারেন ইউপিএসসির কথা।

২০১৮ সালে পরীক্ষায় পাস করেছিলেন। তখন সুযোগ পান ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ট্রাফিক সার্ভিসে। তার ঠিক পরের বছর সুযোগ পান আইপিএস হওয়ার। কিন্তু প্রথম থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলেন দেশের জন্য প্রশাসনিক কাজ করবেন। ২০২০ সালে জেদ আর চেষ্টায় মেলে সাফল্য, হন আইএএস। আজ তারই জীবন যুদ্ধের গল্প গোটা দেশবাসীর মুখে মুখে। তাঁর এই লড়াইকে কুর্নিশ।

https://www.facebook.com/100069378195160/posts/710911684564765/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version