সবচেয়ে বড় রান্নাঘর, চারবেলা রান্না হয় সাড়ে চার হাজার জনের! সব হচ্ছে মেশিনে, কোথায়?

।। প্রথম কলকাতা ।।

এতোবড় রান্নাঘর! ঘি দিয়ে ঘন্টায় এক হাজার চাপাটি তৈরি হয় এখানে। সাড়ে চার হাজারেরও বেশি লোকের জন্য প্রতিদিন চার বেলার রান্না হয়। ১ ঘণ্টায় ১ টন সবজি কেটে, খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে ফেলা হয় এখানে। ভাবতে পারছেন! দেশের সবচেয়ে বড় রান্নাঘর দেখলে তাক লেগে যাবে আপনার। শুধু রান্নার জন্যই রয়েছে দুশো কোটি টাকার যন্ত্রপাতি।

কোথায় রয়েছে এমন পাকশালা? কিভাবে রান্না হয় সেখানে?

দেশের পশ্চিমের রাজ্য রাজস্থানের ভরতপুরে রয়েছে প্রসিদ্ধ আপনা ঘর আশ্রম। এই আশ্রমেই তৈরি হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ পাকশালা। মূলত অসহায় মানুষদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়ে উঠেছে এই আশ্রম। এখানে তাদের থাকা-খাওয়ারও উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। এই আশ্রমে ৪৬০০ জনেরও বেশি আবাসিক একসঙ্গে বসবাস করেন। অল্প সময়ে এত সংখ্যক মানুষের খাবার বানাতেই তৈরি হয়েছে দেশের সবথেকে বড় রান্নাঘর।

এখানে রয়েছে কোটি কোটি টাকার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। রয়েছে চাপাটি তৈরি, সবজির খোসা ছাড়ানো এবং সবজি কাটার যন্ত্র। ৮ ঘণ্টায় মোট চার বার এত সংখ্যক মানুষের জন্য এই রান্নাঘরে খাবার রান্না হয়। এই রান্নাঘরটি ৩১ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা এমনকি অন্যান্য রাজ্য থেকেও প্রচুর মানুষ এটি চাক্ষুষ করতে ভিড় জমাচ্ছেন ভরতপুরে। এই আশ্রমটি পরিচালনা করেন ডা. বি এম ভরদ্বাজ এবং ডা. মাধুরী ভরদ্বাজ। আশ্রমে বিপুল সংখ্যক আবাসিকের বাস।

আগে এতজনের খাবার রান্না করতে অনেক বেশি সময় লেগে যেত। সময় কমানোর বিষয়টি মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে এই রান্নাঘর। বসানো হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার মেশিন। রয়েছে রুটি মেকার, ভেজিটেবল কাটার ও ওয়াশিং মেশিন, পিলিং মেশিন, পনির মেকার মেশিন সহ কত কি। এই রান্নাঘর দুই ভাগে বিভক্ত – ফায়ার জোন এবং নন-ফায়ার জোন। খাবার রান্না হয় ফায়ার জোনে। উপকরণগুলো রাখা হয় নন-ফায়ার জোনে।

রান্নাঘরে বিশেষ ধরনের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতিও বসানো হয়েছে। একটি যন্ত্র ১ ঘণ্টায় ১ টন সবজি কেটে, খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে ফেলে। আর একটি মেশিন প্রতি ঘণ্টায় ৪ থেকে ৬ হাজার চাপাটি তৈরি করতে পারে। এক ঘণ্টায় এক হাজার কেজি ময়দা মাখার জন্য দু’টি মেশিনও বসানো হয়েছে। এমন একটি মেশিনও বসানো হয়েছে, যার মধ্যে ময়দা ঢেলে ঘণ্টায় এক হাজার চাপাটি তৈরি হয় ঘি দিয়ে।

প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার আবাসিকের দুবার টিফিন, লাঞ্চ ডিনারের ব্যবস্হা মানে বিশাল কর্মযজ্ঞ। তা যদি প্রতিদিন চলে তবে ব্যাপারটি কেমন দাঁড়ায় তা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন। সবই করা হয় পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে, স্বাস্থ্য সম্মতভাবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version