Israel-Hamas war: গাজার মাটির নিচে টেরোরিস্ট সিটি! প্যালেস্টাইন স্কয়ার মৌচাক, দেইফের আস্তানায় ডুবছে IDF

।। প্রথম কলকাতা ।।

Israel-Hamas war: গাজার মাটির নীচে হামাসের শহর। কালঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছে আইডিএফ এর। হামাসের মাস্টারমাইন্ড দেইফ এই গোপন ডেরায় লুকিয়ে থাকে? টেরোরিস্ট সিটিতে কারা থাকে কড়া পাহারায়? প্যালেস্টাইন স্কয়ারই মৌচাক। কিসে ভাঙবে এতো বড় সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক? ভয়ানক গোলকধাঁধায় হারিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। সন্ত্রাসের রাজত্বে নেতানিয়াহুর লড়াই আরও কত কঠিন হবে? গোটা পৃথিবীর আড়ালে গাজার আন্ডারগ্রাউন্ড টেরোরিস্ট সিটি। রহস্যময় একটা মানুষ আড়াল থেকে ইসরাইলকে নরক করে দিচ্ছে।সব প্ল্যান কি টেরোরিস্ট সিটিতে বসেই ছকেছে হামাসের মাস্টারমাইন্ড দেইফ? ইসরাইলের গর্ব করার মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে যে নিমেষে ধসিয়ে দিয়েছে। মাটির নীচের এই শহরই কি দেইফের আস্তানা?

চাঞ্চল্যকর দাবি ইসরাইলের। প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায় বড় ধরনের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের খোঁজ। ইসরায়েলের দাবি, একসময় হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা ওই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত। যাকে ‘সন্ত্রাসীদের ভূগর্ভস্থ শহর’ বা আন্ডারগ্রাউন্ড টেরোরিস্ট সিটি বলছে আইডইএফ। এতদুর পৌঁছে গেছে ইজরাইলি বাহিনী? গাজার ‘অভিজাত এলাকা’ হিসেবে পরিচিত, আল-রিমালের প্যালেস্টাইন স্কয়ারের চারপাশ নিজেদের কন্ট্রোলে নিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করছে নেতানিয়াহুর প্রতিরক্ষা বাহিনী। ৭ই অক্টোবর ইসরাইলের ভূখন্ডে মাত্র ২০ মিনিটে হামাসের হাজার পাঁচেক রকেট ধেয়ে আসার পর নেতানিয়াহুর ফোর্স গাজা অ্যাটাক করে। তারপর থেকে লড়াই চলছে অবিরত। কয়েক সপ্তাহের লড়াইয়ের পর এলাকাটির কন্ট্রোল নিয়েছে আইডিএফ। ইসরাইল বলছে এখান থেকেই প্যালেস্টাইন মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাসের প্রশাসনিক ও সামরিক নেতৃত্ব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত।

ইসরায়েলের আরও দাবি, হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া, সামরিক নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও হামাস কোমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ গাজা নগরীর এই জায়গাতেই থাকত। যে হামাসের কমান্ডার দেইফকে সরিয়ে দিতে ৭ বার চেষ্টা চালিয়েছে ইজরাইল। লাস্ট চেষ্টা ছিল ২০২১ সালে কিন্তু প্রতিবারই ফেইল করেছে। দেইফ সচরাচর প্রকাশ্যে আসে না, কথা বলেনা, একটা চোখে দেখেনা, হুইলচেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারে না। কোথায় থাকে নির্দিষ্টভাবে সেটাও কেউ জানে না। মোহাম্মদ দেইফ মানে পুরো একটা ধোঁয়াশা।

ধোঁয়াশা কাটাতে না পারলেও ইসরাইলের দাবী তারা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। প্যালেস্টাইন স্কয়ারের ঠিক নিচে সুড়ঙ্গের এক বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে, যাকে ‘কৌশলগত সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক’ অভিহিত করে ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় এর সঙ্গে রানতিসি হাসপাতাল ও শিফা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার ভূগর্ভস্থ অবকাঠামোর বিরাট কানেকশন রয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ-সংশ্লিষ্ট একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি প্রথম কলকাতা। ভিডিওতে গাজা নগরীর কয়েকটি সুড়ঙ্গের প্রবেশমুখ চিহ্নিত করে দেখানো হয়েছে। এসব সুড়ঙ্গের সঙ্গে হাসপাতালের সংযোগ রয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি। শুধু তাই নয়।

সম্প্রতি গাজায় একটি বড় সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়ার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী! দেশটির সেনা কর্মকর্তারা জানান, এরেজ সীমান্ত ক্রসিং থেকে কয়েকশ মিটার দূরে সুড়ঙ্গটির প্রবেশ মুখের সন্ধান পাওয়া গেছে। জানানো হয়, ওই সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটারের বেশি বা প্রায় আড়াই মাইল। সীমান্ত এলাকায় এই পর্যন্ত হামাসের যেসব সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে, সেগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। বুঝতে হবে, গাজার হৃৎপিণ্ড এতো এতো সুড়ঙ্গ। মাটির নীচের ইনফ্রাস্ট্রাকচার গাজার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। গাজা উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ রয়েছে। সেখানে পণ্য ও মানুষ এর প্রবেশ কিংবা সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য ইসরায়েলের অনুমতি দরকার। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় গোপনে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য এসব সুড়ঙ্গ ব্যবহার করা হয়।

যদিও ইসরায়েলের দাবি, হামাসের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড পরিচালনায় এসব সুড়ঙ্গ ব্যবহার করা হয়। তাই এসব সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শেষ ভরসা ভূমধ্যসাগরের জল। তাতে ইসরাইল সাকসেসফুল হয় কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version