জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে ভয়ঙ্কর ডাকাতি! ট্রেনে এই ৩ ডাকাতির গল্প জানলে শিউরে উঠবেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে হাড়হিম করা ডাকাতি এ যেন সিনেমার গল্প! গুলিও চালাল ডাকাতদল কিন্তু এই ঘটনাতেই আত্কে উঠবেন না। ভারতের এমন কিছু ভয়ঙ্কর ডাকাতির গল্প আজ আপনাদের বলবো যা শুনলে ট্রেনে চড়লে দুচোখের পাতা এক করতে পারবেন না।সম্বলপুর জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস।শনিবার রাত ১১টা নাগাদ। রাতে ঘুমানোর প্রস্তুতি সারছিলেন যাত্রীরা।কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সব ওলটপালট হয়ে যায় কিন্তু এর থেকেও হাড়হিম করা রেল ডাকাতি হয়েছে ভারতেই।

এই তো গতবছরের ঘটনা নিউ দিল্লি-হওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসে রীতিমত যাত্রীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ডাকাতি হয়। ২০ জনের ডাকাতদল সেদিন তাণ্ডব চালিয়েছিল ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা, সোনার হার ছিনিয়ে নিয়েছিল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে রাজধানী এক্সপ্রেসেও। বিহারের বক্সা পের হতেই ভোরের দিকে সুযোগ বুঝে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে লুঠপাট চালিয়েছিল দুষ্কৃতিরা। ২০১৬ সালের ঘটনা মোট ৩৪২ কোটি ভিজে যাওয়া ছেঁড়া টাকা স্টিলের ট্রাঙ্কে করে সালেম এক্সপ্রেসে চেন্নাইয়ের ইগমোর স্টেশনে পাঠাচ্ছিল রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক। খবর আগে থেকেই ছিল কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও ট্রেনের কামরার ছাদ কেটে ভেতরে ঢুকে পড়ে ডাকাতরা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা লুঠ করে পালিয়েছিল। ২০২১ সালে লখনউ মুম্বাই পুষ্পক এক্সপ্রেসে যাত্রীদেরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করতে করতে লুঠপাট চালিয়েছিল। জিআরপির তত্পরতায় সেবার ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছিলেন ৮ যাত্রী।

গত শনিবারও কে জানত কপালে এই দুর্ভোগ লেখা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের লাতেহার ও বারওয়াধি অঞ্চলের মাঝখানে অন্তত ১৫ জন ডাকাত বন্দুক ও অন্য়ান্য় অস্ত্র নিয়ে ট্রেনে উঠে পড়ে এস৯ কামরায় বন্দুক উঁচিয়ে তাণ্ডব শুরু করে। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় আগে থেকেই যাত্রীদের কামরায় চড়ে বসেছিল ডাকাতরা। প্রত্যকের মুখ ঢাকা ছিল কালো কাপড়ে। সেই সময় ডাকাতরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ১৫ জন যাত্রীর সর্বস্ব লুঠ করেছে। মোট কয়েক লক্ষ টাকার ডাকাতি হয়েছে বলে খবর। রেলের নিরাপত্তা নিয়ে ফের চিন্তায় পড়ে গেলেন যাত্রীরা। রেলে বহু ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসা হলেও, ট্রেনে ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনা হয়ে চলেছে। তাই ট্রেনে জার্নির সময় সতর্ক থাকবেন সবসময়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version