।। প্রথম কলকাতা ।।
Heat Wave: ২০২৩ ভারতবাসীর জন্য খুব একটা সুখকর হবে না। এমনটাই আশঙ্কা করছে বিজ্ঞানী মহল। কারণ ২০২৩ এ ভারতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে পড়তে পারে তীব্র গরম। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে প্রতিবছর একটু একটু করে গড় তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এখনো পর্যন্ত দেশে তেমন গরম পড়েনি, তার আগেই তীব্র তাপপ্রবাহের (Heat Wave) ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। গরমের মাত্রা চরমে পৌঁছাবে এপ্রিল, জুন আর জুলাই মাসে। আশঙ্কা অনুযায়ী, এই কাঠফাটা গরম থেকে বাঁচা বেশ কঠিন হয়ে পড়তে পারে। ১৯০১ সালের পর ২০২৩ এর ফেব্রুয়ারি (February) ছিল ভারতের উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি মাস। মৌসুম ভবন আগামী সপ্তাহগুলিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
একদিকে পরিবেশ দূষণ, অপরদিকে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি। সবকিছু নিয়ে নাজেহাল গোটা বিশ্ববাসী। শুধুমাত্র ভারত(India) নয়, এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোও। কোথাও বরফ গলছে, আবার কোথাও বা জলবায়ুর উপর পড়েছে বড়সড় প্রভাব। যার ফলে গোটা বিশ্বকে তার খারাপ ফল ভুগতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে অপেক্ষা করছে হয়ত আরও ভয়ঙ্কর দিন। ২০২২ এ সমস্ত রেকর্ড ভেঙে তীব্র গরমে ভুগতে হয়েছিল ভারতবাসীকে। আশঙ্কা অনুযায়ী, ২০২৩ এ ভারতবাসীকে প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রা সহ্য করতে হতে পারে। জলবায়ু বিজ্ঞানী কিয়েরান হান্ট ভারতের জলবায়ু নিয়ে রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন। তিনি মনে করছেন, বায়ুমণ্ডলীয় চাপ আর আদ্রতার কারণে চলতি বছরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে পারে। সাহারায় যে পরিমাণ গরম পড়ে সেই গরম সহ্য করতে হতে পারে ভারতবাসীকে।
বিশ্ব ব্যাংক(World Bank) ভারতকে তাপমাত্রা বিষয়ে সতর্ক করেছে। ওয়েট বাল্ব রিডিংয়ে বায়ুর তাপমাত্রা এবং আপেক্ষিক আদ্রতাকে একত্রিত করে পরিমাপ করা হয়। সাধারণত প্রতিবছর ভারতে গরমে তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৩৫ ডিগ্রির কাছাকাছি, তবে ২০২৩ সালে সেই তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। মার্চ মাস থেকেই তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়তে থাকবে। হোলির পরে একটু ঠান্ডা আমেজ দেখা দিলেও যত দিন যাবে পরিস্থিতি ততই বদলাতে থাকবে। ২০২৩ এর সর্বাধিক তাপমাত্রায় ভুগবে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কেরালার কিছু অংশ, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু সহ বেশ কিছু রাজ্য।
বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশ হতে চলেছে ভারত। জলবায়ু পরিবর্তন সহ নানান কারণে দেশটিতে দাবদাহের সমস্যা দেখা দিয়েছে। গত বছরের নভেম্বরের বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ভারতের মানুষের স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি যে কোন সময় পেরিয়ে যেতে পারে। তখন কিন্তু তীব্র গরমের মধ্যে প্রাণ ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম