সিকিমে ফুঁসছে তিস্তা বিপত্তি বাড়বে! বাংলাদেশ কেন আতঙ্কে? কীভবে এমন দশা

।। প্রথম কলকাতা ।।

তিস্তা প্রবল গর্জনে ফুঁসছে। ইন্ডিয়ান আর্মির ৪১টা গাড়ি চরম বিপদে। গোটা উত্তরবঙ্গজুড়ে রেড অ্যালার্ট নাকি? বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক। লোনক হ্রদ ফেটেই এমন ভয়ানক বান। হ্রদ কীভাবে ফাটতে পারে? ভাবেওনি প্রশাসন। সত্যিই দেশ থেকে সিকিম বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল? তিস্তার বর্তমান ছবি দেখলে আপনি আঁতকে উঠবেন। জলপাইগুড়িতে অলরেডি জারি রেড অ্যালার্ট যা ঘটে গেল এতটা মারাত্মক হবে ভাবতে পারেনি কেউ বাড়ির পর বাড়ি ভেসে যাচ্ছে, রাস্তাঘাটের দেখা নেই ২৩ জন সেনা জওয়ানের তলিয়ে যাওয়ার খবর নিশ্চয় আপনি জানেন নেপথ্যে কি প্রশাসনের গাফিলতি? বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কারণ কি? কোন কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে প্রতিবেশী দেশের। পশ্চিমবঙ্গে অলরেডি প্রিকশন নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

বলা হচ্ছে তিস্তা নদীর দু’পাশে যা কিছু আছে সবই ভেসে গিয়েছে জলের তোড়ে। প্রবল বেগে ভয়ঙ্কর তিস্তা নেমে আসছে উত্তরবঙ্গের সমতলে। আর এমনটা ঘটেছে লোনক হ্রদ ফেটে। এর মানে লোনক হ্রদের দুকুল উপচে গিয়ে। এমূহুর্তে সবচেয়ে উদ্বেগের ব্যাপার তিস্তার থাবায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। এর ফলে সিকিমের সঙ্গে অবশিষ্ট ভারতের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিপর্যস্ত কালিম্পংয়ে জলের তো়ড়ে ধসে গেছে রাস্তা। তিস্তা বাজার, রাম্পু সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং দার্জিলিং যাওয়ার বিকল্প রাস্তার ওপর দিয়েই বইছে জল।

আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ ছিল প্রশাসনের তরফে জারি ছিল সতর্কতাও। তবুও এতটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে বুঝে ওঠা যায়নি। ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড জানিয়েছে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমের লাচেন উপত্যকার লোনক হ্রদ উপচে পড়ে চুংথাম বাঁধ ভেঙে বিপুল পরিমাণ জল চলে আসে তিস্তা নদীতে। এর ফলে মুহূর্তে তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে যায়। বিধ্বংসী তিস্তা ভাসিয়ে দিচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। ভেসে গিয়েছে বাড়ি-গাড়ি, বেশ কিছু সেনাছাউনিও। সেনা সূত্রেই জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত খোঁজ নেই ২৩ জন সেনা জওয়ানের এমনকি খোঁজ মিলছে না। উত্তর সিকিমের বহু গ্রামের বাসিন্দাদেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সেনাবাহিনীর ৪১টি গাড়ি উত্তর সিকিমের সিংতামের কাছে কাদাজলের নীচে ডুবে গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে এমূহুর্তে। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরাতে শুরু করেছে।

তিস্তার গতিপথের দু’পাশে পড়ছে গাজলডোবা ব্যারাজ, দোমহনি, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি শহর
এই সব এলাকায় জারি লাল সতর্কতা। জলপাইগুড়ি জেলার বিশাল অংশ দিয়ে তিস্তা প্রবাহিত হয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশে। তার পর তা মিশে যায় ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে। তাই পাহাড়ে বৃষ্টি বাড়লে চিন্তা বাড়ে জলপাইগুড়ি-সহ গোটা উত্তরবঙ্গ এবং বাংলাদেশে। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাও। সিকিম রাজ্য প্রশাসন মানুষকে তিস্তা নদী থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version