Surrogacy Guidelines : ইচ্ছে হলেই সারোগেসি নয় ! বঙ্গে নয়া গাইডলাইন স্বাস্থ্য দফতরের

।। প্রথম কলকাতা ।।

Surrogacy Guidelines : সম্প্রতি বলিউডের প্রথম সারির কিছু অভিনেত্রীরা মা হয়েছেন। কিন্তু তাদের সন্তান নয় মাস তাদের গর্ভে ছিলেন না। সন্তানকে গর্ভে ধারণ করার জন্য তাঁরা ভাড়া করেছিলেন মাতৃগর্ভ। এই বিষয়টি সারোগেসি হিসেবে পরিচিত। বলিউড ডিভারা যদিও নিজেদের কেরিয়ার পিকে এসে সন্তান ধারণের মত রিস্ক নিতে চাননি। এতে স্বাভাবিকভাবেই তাদের দেহ একজন সদ্যোজাত মায়ের দেহের মতই ঢিলেঢেলা হয়ে যেত দৈহিক সৌন্দর্যে কিছুটা হলেও ভাটা পড়ত। তাই সারোগেসিকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা। তবে বাংলার বুকে যদি এই একই কারণে কেউ সারোগেসি করতে ইচ্ছুক হন তবে তা সম্ভব নয়।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আইনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়। সেই গাইডলাইনে একেবারে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে , সারোগেসি করতে পারেন যে কোন দম্পতি। তবে তার জন্য বেশ কিছু বিধি- নিয়ম রয়েছে। কিছু নির্দেশিকা রয়েছে যা অবশ্যই মানতে হবে।

১. একমাত্র শারীরিক ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা থাকলে তবেই সারোগেসির আশ্রয় নেওয়া যাবে।

২. ডিস্ট্রিক্ট মেডিকেল বোর্ডের শংসাপত্রে জানানো হবে মেডিকেল কারণে গর্ভধারণে অক্ষম মা।

৩. ইচ্ছুক দম্পতিকে নিঃসন্তান হতে হবে।

৪. ইচ্ছুক দম্পতির বয়স হতে হবে ২৩ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে।

৫. সারোগেট মাকে বিবাহিত হতে হবে এবং নূন্যতম একটি জীবিত সন্তানের মা হতে হবে।

৬. সারোগেট মাদার হিসেবে একবারের বেশি কোন মহিলায় গর্ভধারণ করতে পারবেন না

৭. ইচ্ছুক দম্পতিকে সারোগেট মায়ের তিন বছরের স্বাস্থ্য বিমা করাতে হবে। সেই সংক্রান্ত হলফনামাও জমা দিতে হবে।

৮. সব রকম অফিসিয়াল নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর সারোগেসির চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে স্টেট অ্যাপ্রোপ্রিয়েট অথরিটি।

* ইচ্ছুক দম্পতির মেডিকেল সমস্যা হিসেবে কী কী গ্রহণযোগ্য ?

যদি কোন কারনে একজন মহিলা স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণে অক্ষম হন, পরবর্তীতে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েও বারবার গর্ভধারণে ব্যর্থ হন তবেই তাকে সারোগেসির অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি যদি কোন অসুখে ভোগেন এবং গর্ভধারণে তাঁর প্রাণ সংশয় ঘটতে পারে এমন ঝুঁকি থাকে তাহলেও সারোগেসি করার অনুমতি পাবেন তিনি । লিভ ইন সম্পর্কে সারোগেসি করানো যাবে না । এক্ষেত্রে একমাত্র সিঙ্গেল মাদার অথবা বিবাহিত যুগলকেই সারোগেসির অনুমতি দেওয়া হবে। যদি ইচ্ছুক দম্পতির কোন জীবিত সন্তান থাকে তাহলে সারোগেসি করার অনুমতি পাবেন না তাঁরা।

সারোগেসি আইনের খসড়া বিলের অন্যতম প্রস্তাবক এবং উপদেষ্টা, বিশিষ্ট বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, পশ্চিমবঙ্গের সারোগেসি নিয়ে অনিয়ম খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না। এটা মূলত দেখা যায় গুজরাট , মধ্যপ্রদেশ এই সমস্ত জায়গায়। তবে বাংলাতেও এই নতুন গাইডলাইন অনিয়ম ঠেকাতে যথেষ্ট কার্যকর হবে বলেই আশাবাদী তিনি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version