অবাক সকলে! কচুরিপানা দিয়ে বিশ্বে প্রথম ফিউশন শাড়ি তৈরি করলেন এই যুবক

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতের এক যুবকের কাণ্ডে অবাক হয়ে যাচ্ছেন সবাই। এই যুবক কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করছেন শাড়ি। যুবকের এই উদ্যোগে কাজ পেয়েছেন শত শত মহিলা। তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই। একই সাথে জলাশয় থাকে নিষ্কাশন হচ্ছে কচুরিপানার। কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করছেন এই যুবক? গ্রামবাংলায় পড়ে থাকা কচুরিপানা দিয়ে মানুষ অর্থ উপার্জন করুক বেকারত্ব দূর করে গ্রাম বাংলার অর্থনীতিকে আরও বেশি সতেজ করে তুলুক তা আমরা সকলেই চাই। বর্তমানে কচুরিপানা থেকে তৈরি হচ্ছে ব্যাক পেনদানি ফুলের সাজি বিভিন্ন রকম ট্রে। প্রশিক্ষিত মহিলারাই এখন কচুরিপানা থেকে নানান রকমের জিনিস তৈরি করে চলেছেন এবং নতুন নতুন দ্রব্য তৈরি করা শিখছেন। সেইসব দ্রব্য বিভিন্ন প্রদর্শনী মেলা ও দেশ-বিদেশে পৌঁছে যাচ্ছে। খুব সমাধান পাচ্ছে দ্রব্যগুলি। এইসব বিক্রি করে লাভের মুখও দেখছেন অনেকে।

পুকুর বা জলাশয়ে কচুরিপানা আমরা সবাই দেখেছি। এছাড়াও কচুরিপানার উপর ফুটে থাকা বাহারি ফুল আমাদের সবার নজর কাড়ে। এই কচুরিপানা দ্রুত বংশবিস্তার করে। প্রতি দু সপ্তাহে এর আকৃতি দুগুন বৃদ্ধি পায়। কচুরিপানা দ্রুত বংশবিস্তার করার জলাশয় বা পুকুর দ্রুত ঢেকে যায় এই উদ্ভিদে। এর ফলে সূর্যের আলো ও বাতাস প্রবেশ করতে পারে না জলের গভীরে। তাই কচুরিপানা জলাশয় ও জলজ প্রাণীদের জন্য বিপদের আরেক নাম। ঝাড়খণ্ডের‌ জামশেদপুরের ইঞ্জিনিয়ার গৌরব আনন্দ এই সমস্যার একটি সমাধান বার করেছেন। কচুরিপানা থেকে সুতো ও সেই সুতো থেকে শাড়ি উৎপাদনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। গৌরব বাবু এই ক্ষেত্রে এক ঢিলে মারতে চেয়েছেন দুই পাখি।

এই উদ্যোগের ফলে একদিকে জলাশয় থেকে নিষ্কাশন হবে কচুরিপানা, অন্যদিকে এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান হচ্ছে গ্রামের মহিলাদের। গৌরব কচুরিপানার ফাইবার গুলিকে ফেব্রিক্স হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছেন। এর ফলে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে বিশ্বের প্রথম ফিউশন শাড়ি। গৌরব এই শাড়ি তৈরিতে সাহায্য নিচ্ছেন বাংলার শান্তিপুরের তাঁতিদের। ‘স্বচ্ছতা তু কারে’ নামো একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালান গৌরব, যা নদী ও জলাশয় পরিষ্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এই অভিযান চলার সময় ২০২২ সালে গৌরবের মাথায় আসে সেই সুতো দিয়ে শাড়ি তৈরির কাজের কথা। এখন তার প্রচেষ্টার প্রশংসা করছেন কোটি কোটি মানুষ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version