Ram Mandir: চমক রামমন্দিরে, রামলালার জন্য বিশেষ উপহার! সবটা জানলে হাঁ হয়ে যাবেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ram Mandir: নতুন বছরেই উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। গোটা দেশ জুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। চলছে বিস্তর প্রস্তুতি পর্ব। রাম মন্দির সম্পর্কে আপনারও নিশ্চয়ই খুঁটিনাটি তথ্য জানতে ভীষণ ইচ্ছা করছে? কীভাবে তৈরি হল? অনুষ্ঠানে ঠিক কোন কোন আয়োজন থাকছে? রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে কোন বিশেষ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবে গোটা দেশবাসী? সবকিছু নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।

নবভারত টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি পুজোর প্রস্তুতি শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জানান, সারা দেশের ৪ থেকে ৫ লাখ গ্রামের মন্দিরে আনন্দোৎসব ও দীপোৎসবের প্রস্তুতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংঘ পরিবার কমিটিকে। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় নির্মিত রাম মন্দিরে রামলালার মূর্তির অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি জোরদার করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলেন মহান যোগাযোগ অভিযান। এর অধীনে ১১কোটি পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হবে এবং ৬০কোটি মানুষকে পুজো করা অক্ষত দেওয়া হবে। এছাড়াও তাদের রামলালার দর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। অন্যদিকে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পুজো উপলক্ষে সারাদেশ থেকে উপহার পাঠানোর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া নেপালের জনকপুর থেকেও উপহার পাঠানো হবে।

রামলালা যে যে উপহার পাবেন

অযোধ্যায় রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পর্কিত সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব কাশীর বৈদিক পণ্ডিতদের কাঁধে। বুধবার কাশী থেকে অযোধ্যায় যাওয়া একদল বৈদিক পণ্ডিত প্রধান মন্দিরের সামনে দুটি বড় মণ্ডপ ও হবন কুণ্ড নির্মাণের জন্য জমি চিহ্নিত করেছেন। মণ্ডপ ও হবনকুণ্ডের নির্মাণকাজ ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১০ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। ২২ শে জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য শুভ সময় ‘সঞ্জীবনী’ দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে। কাশীর একজন মহান বৈদিক পণ্ডিত পন্ডিত গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড় এবং কাশীর আচারিক পন্ডিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত আচারে অর্চয়ত্বের ভূমিকা পালন করবেন। তফসিল অনুসারে, পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের পুত্র অরুণ দীক্ষিতের সাথে বৈদিক পণ্ডিতরা বুধবার অযোধ্যা সফর করেন এবং মণ্ডপ ও হবন কুণ্ডের জন্য জমি নির্ধারণ করেন। নয়টি হবন কুণ্ড তৈরি হবে।
পণ্ডিত গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড় জানান, প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের জন্য মূল মন্দিরের সামনে ৬০-৬০ ফুট আকারের দুটি মণ্ডপ তৈরি করা হবে। একটি মণ্ডপে গণেশ পুজো ও রামের আরাধনা হবে, অন্য মণ্ডপে রামলালার মূর্তিকে স্নান করা থেকে শুরু করে বাসস্থান পর্যন্ত সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। সেই সঙ্গে নয়টি হবনকুণ্ড তৈরি করা হবে। আকার হবে চতুর্ভুজাকার, পদ্মকার, অর্ধচন্দ্র, ত্রিভুজ, বৃত্তাকার, ষড়ভুজাকার, অষ্টভুজাকার প্রভৃতি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version