দুর্নীতিতে লাগাম পরাতে সুপারহিট কেন্দ্র! শাহের চালে দুর্নীতিবাজদের আত্মারাম খাঁচা

।। প্রথম কলকাতা ।।

পাততাড়ি গোটাবে দুর্নীতিবাজরা। ইডির প্রধান যেই হন দুর্নীতিবাজদের রেহাই নেই। চোখে চোখ রেখে বুঝিয়ে দিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহর দুর্নীতি-তোপে ক্লিন বোল্ড বিরোধীরা। দুর্নীতি দমনে আরো কঠিন মোদী সরকার। সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। সুপ্রিয় রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শাহের ট্যুইটে আত্মারাম খাঁচা হওয়ার জোগাড় দুর্নীতিবাজদের। টেনশন বাড়ছে, দুর্নীতিবাজদের পালানোর পথ নেই। ঠিক কি হয়েছে?

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি’র ডিরেক্টর এসকে মিশ্রর কার্যকালের মেয়াদ তৃতীয় বারের জন্য বাড়ায় কেন্দ্র। কিন্তু এই মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ৩১ জুলাইয়ের পর আর ওই পদে থাকতে পারবেন না তিনি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যা বলেছেন তাতে রীতিমতন ঘাম ছুটছে দুর্নীতিবাজদের। টুইটে শাহ লিখেছেন, ইডি ডিরেক্টরের পদে কে রয়েছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ যিনিই এই পদ গ্রহণ করবেন তিনিই দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, দুর্নীতিবাজ এবং বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফলে, যারা অর্থ নয়ছয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের প্যালপিটিশন বাড়ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই খোঁচার জবাবে বিরোধীরা পাল্টা দিয়েছেন ঠিকই। মোদী আমলে দুর্নীতিবাজদের যে পরিত্রাণ নেই, যাদের বিরুদ্ধে ইডির তদন্ত চলছিল, তেমনই যে চলবে সেটা একপ্রকার পরিষ্কার হয়ে গেছে। কেন্দ্র বলছে জাতীয় কংগ্রেসের যারা ইডির তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে চাইছে তাঁরাই ব্যক্তিগত স্বার্থে আবেদন করেছিলেন‌। সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদের অপব্যবহার। সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে, ভারতের প্রত্যেক নাগরিককে, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে সাংবিধানিক প্রতিকার চাওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে।

মনে করিয়ে দিই, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী যে দুর্নীতি বিরোধী স্লোগান তুলেছিলেন তার উপরে ভর করে এখনো মোদি আমলে দুর্নীতিবাজদের রেহাই দেওয়া হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এই আমলে নেই যা সরকারের স্থিতি নষ্ট করতে পারে। আর, শাহের ট্যুইটও এদিন সেই মতামতেই শিলমোহড় দিল। ইডির স্ট্যান্ড পয়েন্ট স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন, মোদী আমলে দুর্নীতিবাজদের রেহাই নেই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version