Suez Canal: সুয়েজ খালের বিকল্প বানাচ্ছেন পুতিন! সময়-অর্থ বেঁচে যাবে ভারতের, ইরানের বড় ভূমিকা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Suez Canal: পুতিন একা তৈরি করছেন সুয়েজ খালের বিকল্প রাস্তা। রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফেলল একটা আপাদমস্তক মুসলিম দেশ। মুম্বই-তেহেরান-মস্কো একলাইনে এবার হু হু করে হবে বাণিজ্য। যুদ্ধের মাঝেও বাণিজ্যে ম্যাজিক দেখাতে ভুলছেন না ভ্লাদিমীর পুতিন। ইরানের সঙ্গে রাশিয়া স্বাক্ষর হয়ে গেল বড়সড় চুক্তি। এটা কোনও দ্বিপাক্ষিক বিদেশ চুক্তি নয় এটা রেল চুক্তি সঙ্গে রয়েছে ভারত। কল্পনা করুন মুম্বই থেকে সোজা তেহেরান আর সেখান থেকে মস্কো। এশিয়া-ইউরোপ মিলে মিশে এক হবে সুয়েজ খাল ছাড়াই।

এর মানে সুয়েজ খালের বিকল্প রুট তৈরি করার বড়সড় প্ল্যান রয়েছে মস্কোর বাদশার৷ কিন্তু কেন? এশিয়া থেকে ইউরোপে বাণিজ্যের অতি গুরুত্বপূর্ণ সুয়েজ খাল। হঠাৎ এটার দ্বিতীয় অপশন কেন চান পুতিন? মুম্বই থেকে নৌপথে বন্দর আব্বাস পোর্ট হয়ে তেহেরান থেকে সোজা মস্কো। তারপর রেলপথে ইরান, আজারবাইজান হয়ে রাশিয়ার ককেশীয় সীমান্ত দিয়ে পৌঁছে যাবে পণ্য ইউরোপের দোরগোড়ায়। NSTC (ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর) প্রকল্পের লেনদেন ও অর্থায়ন সহজ করতে এবার রেল-জাহাজ ও সড়ক পথে জুড়ে যাবে মুম্বই-তেহেরান-ক্যাসপিয়ান সাগর থেকে মস্কো।

জানেন তো ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা যেন আরও অনেক বেশি চতুর বানাচ্ছে রাশিয়াকে। ২০০২ সালে অনুমোদন করা হয়েছিল ইরান ও রাশিয়া প্রকল্প। সেটা যে ২০২৩য়ে কাজে লাগবে কে জানত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে মস্কোর সঙ্গে সঙ্গে ভারতের লাভটা কোথায় জানেন? প্রথমত উত্তর ইউরোপ থেকে এশিয়ায় নৌ পরিবহনের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। দ্বিতীয়ত ভারত থেকে একটা চালান ইউরোপে পৌছতে ৪৫ থেকে ৬০ দিন সময় লেগে। তবে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে এই রুট চালু হলে ভারত থেকে তা পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ২৩ দিন। সারা বিশ্বের জলপথে বাণিজ্যের ৩০ শতাংশ শিপিং কন্টেনার এই খাল দিয়েই যাতায়াত করে। এই খাল দিয়ে সবচেয়ে বেশি মাল রফতানি করে রাশিয়া এবং সৌদি আরব। এর মানে সোজা হিসেব৷ সময় ও অর্থ দুটোরই সাশ্রয়৷ ভারত ও ইউরোপের মধ্যে পণ্য পরিবহনের এক তৃতীয়াংশ ব্যয় কমাবে মস্কো-তেহেরান চুক্তি অনুসারে, রাশিয়া কৌশলগত রেলপথ নির্মাণে ১.৬ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করবে। যেটা ৪৮ মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটাকে বলা হচ্ছে মাল্টিমোডেম প্রজেক্ট। কারণে এই গোটা প্রজেক্টে থাকছে নৌ-রেল ও সড়ক পথ।

ইরানের প্রেসিডেন্টের অফিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডরের অংশ হিসেবে উত্তর ইরানের শহর রাশত এবং আস্তারার মধ্যে ১৬২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হবে। এর মানে INSTC করিডরের মাধ্যমে ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইরান হয়ে মধ্য এশিয়া ও ইউরোপ হয়ে অভিন্ন নৌ যোগাযোগ ও রেলপথে নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হবে। পারস্য উপসাগরের পারের ওমানও কিন্তু রয়েছে এই প্রজেক্টেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রজেক্ট সফলতার সঙ্গে তৈরি হয়ে গেলে সুয়েজ খালের ওপর থেকে নির্ভরতা অনেকটাই কমবে রাশিয়ার। ভারত সঙ্গে সঙ্গে চিনও সবচেয়ে বেশি মাল আমদানি করে এই পথ দিয়েই। তাই নয়া দিল্লির কাছে থাকবে আরও একটা রুট। অনেকেই বলছেন রাশিয়া ইরানের কাছে কিন্তু এজন্য কৃতজ্ঞ থাকতেই হবে ভারতকে৷ তবে শুধু ভারতই নয় রাশিয়া যে নিজেদের বাণিজ্য ভবিষ্যত আলোকিত করার জন্যই ইরানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সেটা পরিস্কার বলছেন কূটনৈতিক মহল।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version