Suez Canal: সুয়েজ ক্যানেলে বিকল্প বড় অফার ভারতের হাতে! পুতিন নয় মোদী ঘোরালেন খেলা, অস্বস্তিতে চিন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Suez Canal: পুতিন নয় সুয়েজ খালের বিকল্পে এবার মোদী এফেক্ট। চিন-পাকিস্তানের ৭০ শতাংশ জ্বালানির চালান এবার ভারতের হাতে? সুয়েজে ভারতের প্রভাব বাড়তেই বেজিংয়ে হুলুস্থুলু। কেন এত গুরুত্বপূর্ণ সুয়েজ ক্যানেল। মিশর কোন গোপন চাবিকাঠি তুলে দিল ভারতের হাতে? ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজে মিশরের প্রেসিডেন্টের আবদেল ফাতা এল সিসির উপস্থিতি দেখেই ঘাবড়ে গেছিল চিন। আর জল্পনা ঠিক তখন থেকেই যে এবার সুয়েজ ক্যানেলের বড় ভাগীদারি আসতে পারে দিল্লির হাতে। মিশরে মোদীর উপস্থিতি পাকিস্তানকে চমকেছে অন্য কারণে তবে বেজিংয়ের আতঙ্ক কিন্তু জেনুইন। সুয়েজ খালের বিকল্প রাস্তা তৈরি করার প্ল্যান করে ফেলেছেন ভ্লাদিমীর পুতিন। ইরান রাশিয়ার সঙ্গে প্রস্তাব দিয়েছে ভারতকে। কিন্তু এবার ভারত বাঁকা পথে না হেঁটে সোজা গতি বাড়ালো।

সুয়েজ খাল ঘিরে বিশেষ অর্থনৈতিক করিডর বা SEZ এ অংশীদারিত্ব বড়সড় প্রস্তাব পেল ভারত। তবে তার আগে জানুন সুয়েজ খাল এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন মনে রাখতে হবে আজ মিশরের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো ভবিষ্যতে নাও থাকতে পারে। কাশ্মীর ইস্যুতে জি২০ বয়কট কিন্তু মিশরও করেছিল এছাড়াও চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোডেরও অংশীদার মিশর। সুয়েজ খালে আজ থেকে দুবছর আগে একটি মালবাহী জাহাজ আটকে যায়। তাকে প্রতিদিন প্রায় ৯০০ কোটি টাকা লস হয়েছিল এ পথে বাণিজ্য করা দেশ গুলোর।এর মানে পরিস্কার কেউ শত্রুতা করে চাইলে ব্লক করে দিতে পারে এই খালকে। এশিয়া থেকে ইউরোপে বাণিজ্যের অতি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সুয়েজ খাল। ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে ভারত মহাসাগর এবং লোহিত সাগরের সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী এই খালের মাধ্যমেই প্রতি দিন ৫ লক্ষ ব্যারেল অশোধিত তেল জলপথে ভারতে যায়। ভারতের জ্বালানির ৭০ শতাংশ সুয়েজ হয়ে আসে। সারা বিশ্বের জলপথে বাণিজ্যের ৩০ শতাংশ শিপিং কন্টেনার এই খাল দিয়েই যাতায়াত করে। আর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এই খাল দিয়ে সবচেয়ে বেশি মাল রফতানি করে রাশিয়া এবং সৌদি আরব।

তাই ভারতের কাছে এর বিকল্প রুট থাকাটা জরুরী৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন INSTC আসল রুটের থেকে ৩০ শতাংশ সস্তা ও ৪০ শতাংশ কম সময় লাগে। INSTC (ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর) প্রকল্পের আন্ডারেই অবশ্য লেনদেন ও অর্থায়ন সহজ করতে রাশিয়া-ইরান-ভারত মিলে নয়া রেলপথের কথা ভেবেছে। ২০০২ সালে ভারত-রাশিয়া-ইরান INSTC ডিলে স্বাক্ষর করেছিল।২০০৫ সালে আজারবাইজান এই ডিলে যুক্ত হয়। তবে গোটা বিষয়ে চিন মারাত্মক সতর্ক কেন জানেন? কারণ বিশেষ অর্থনৈতিক করিডর বা SEZ এ ৩ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে রেখেছে বেজিং এছাড়াও ভারত সঙ্গে সঙ্গে চিনও সবচেয়ে বেশি মাল আমদানি করে এই পথ দিয়েই। ভারতের প্রভাব সুয়েজ খাল সংক্রান্ত এলাকায় বাড়া মানে বেজিং বাণিজ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হওয়া।

জেনে রাখুন, বর্তমানে রাশিয়ায় পুতিন কতদিন সেই‌ গদিতে থাকবে তা নিয়ে তুমুল গুঞ্জন তৈরি হলেও পুতিন এক্ষেত্রে যে পরিকল্পনা এনেছিলেন সেটা হল INSTC করিডরের মাধ্যমে ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইরান হয়ে। মধ্য এশিয়া ও ইউরোপ হয়ে অভিন্ন নৌ যোগাযোগ ও রেলপথে নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হবে। এটাকে বলা হচ্ছে মাল্টিমোডেম প্রজেক্ট। পারস্য উপসাগরের পারের ওমানও কিন্তু রয়েছে এই প্রজেক্টেই। তবে সেটা হলেও সুয়েজ খাল যাদের দখলে সেই মিশর ভারতকে দিল বড় অফার। ভারতের কর্পোরেট সংস্থাগুলো সুয়েজ SEZ এ লোক নিতে আগ্রহী হলে তাদের অনুমতি দেওয়া হবে বলে দিল কায়রো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর সোজা হিসেব হল সুয়েজ খাল এলাকায় ভারতের উপস্থিতি আরো বাড়বে। সেই সঙ্গে মিশরের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কও বেড়ে গেল ভারতের৷ আর এই স্ট্র্যটেজিক পার্টনারশিপে চিনের ঘুম যে উড়ে গেছে তা বলাই বাহুল্য৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version