India Pakistan: মোদীকে এত ভয়! কাশ্মীর নিয়ে বড় প্ল্যান বুমেরাং, শাহবাজ শরিফের পারফরমেন্সে হতাশ পাকিস্তান

।। প্রথম কলকাতা ।।

India Pakistan: মোদীর সামনে ভিত শাহবাজ। শরিফের ইমেজে পাকিস্তানীরা হতাশ। এবারও কাশ্মীর ইস্যুতে দাহা ফেল পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এদিকে জাপানে সফরে গিয়ে বিলাবল ভুট্টোর কান্ড জানেন ছি ছি করছে পাকিস্তান। SCOতে যোগ দিয়ে আদতে কী লাভ হল পাকিস্তানের? পাকিস্তানের শিঁড়দাঁড়া আর সোজা নেই, এমনটাই বলছেন হতাশ পাকিস্তানীরা৷ পরিকল্পনা ছিল বড়সড় কিন্তু মোদী সামনে আসতেই যেন ভেসতে গেল সবটা। শেষে কিনা প্যাঁচে পড়ে ভারতকে ধন্যবাদ জানালো পাকিস্তান। কাশ্মীর ইস্যু তুলতে গিয়ে এমন কোন কান্ড করে ফেললেন শাহবাজ শরিফ। এরইমাঝে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ভু্ট্টোর ওপর থেকে ভরসা উঠে গেল সেদেশের।

কূটনৈতিক চাল দিতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী একপ্রকার শিকার করে নিলেন সন্ত্রাসবাদের মূল ঘাঁটিই হল পাকিস্তান। আর ঠিক এখানেই পাকিস্তানের তাবড় তাবড় কূটনীতিবিদরা বলছেন ইনি দেশের নেতৃত্ব দিলে পাকিস্তান আরও দিন দিন দুর্বল হয়ে যাবে। ভারতের সঙ্গে ভার্চুয়ালি এসসিও বৈঠকে যখন শাহবাজ শরিফ ব্যস্ত তখন জাপানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার উদ্দেশ্যে টোকিও পৌঁছন বিলাবল ভুট্টো। কিন্তু এই সরকারী সফরে ভুট্টোর সঙ্গে ছিল তাঁর বোন আসিফা ভুট্টো জরদারি।

এখানেই পাকিস্তানীরা প্রশ্ন তুলছেন সরকারী সফরে নিজের বোনকে নিজে কীভাবে যেতে পারেন দেশের বিদেশমন্ত্রী। এটা কী ব্যক্তিগত কোনও ট্রিপ হচ্ছে? দেশের বিদেশমন্ত্রী যদি এভাবে দেশের টাকা ওড়ায় তাহলে জনগনের কী হাল হবে। তার ওপর SCOতে শাহবাজ শরিফের খারাপ পারফরমেন্স। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের নাম না করেই যখন হুঁশিয়ারি দেন নরেন্দ্র মোদী বলেন, কিছু দেশ তাদের নীতির একটি হাতিয়ার হিসাবে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয় সন্ত্রাসবাদের স্বর্গ হয়ে উঠছে কিছু দেশ। তার পাল্টা পাক প্রধানমন্ত্রীর আপিল ছিল যানেন? সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থা হাইড্রা-হেডেড দানবের মতো। এ সন্ত্রাসবাদ ব্যক্তি, সমাজ বা রাষ্ট্র যেই করুক না কেন তার বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। তবে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এ নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত পরিহার করা উচিত। এর মানে সোজা কথায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে খুব কঠোর হওয়াও উচিত নয়। শরিফের এহেন মন্তব্য শুনে রীতিমত হতবাক চীন ও রাশিয়া। তথ্য বলছে এসসিও বৈঠকের ঠিক আগের দিন পাকিস্তানের সরকারের তরফ থেকে কাশ্মীর ইস্যুতে বড় আওয়াজ তোলার পরিকল্পনা ছিল। পাকিস্তানের নিউজ মিডিয়ায় রীতিমত ডিবেট চলে এনিয়ে। কিন্তু বাস্তবে সেই প্ল্যান যেন মাঠে মারা গেল।

কাশ্মীর নিয়ে এসসিওতে শাহবাজ বলেন, দখলে করা এলাকায় থাকা জনগণের সঙ্গে সকলের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রর নিরাপত্তা পরিষদ যে এলাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে তার জন্য ব্যবহারিক সমাধানের কথা বলেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারতকে এতটা ভয় পায় পাকিস্তান, যে একবারও শাহবাজ শরিফ নিজের বক্তব্যে কাশ্মীরের নামটাও উল্লেখ করেননি।
অনেকেরই এক্ষেত্রে দাবি গোয়ায় এসে বিলাবল ভুট্টো কাশ্মীর ও POK প্রসঙ্গ তোলায় যে কড়া পাল্টা দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। এবার বোধহয় সেজন্যই নতুন করে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলা সাহসে কোলায় নি শরিফের। এদিকে পাকিস্তানের তাবড় তাবড় কূটনীতিবিদদের দাবি, এসসিওতে পাকিস্তান শুধুমাত্র মুখ দেখাতেও উপস্থিত হয়েছে। এতে তাদের দেশের বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে কোনও লাভ হবে না বলেই মত তাদের। এবার দেখার পাক সরকারের তরফ থেকে এনিয়ে কোনও বয়ান প্রকাশ্যে আসে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version