।। প্রথম কলকাতা ।।
Smartphone Use: মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। কিন্তু সেই স্মার্টফোন এখন সম্পর্কের তিক্ততা বাড়িয়ে দিচ্ছে। শুধুমাত্র স্মার্টফোনের কারণে দাম্পত্য সংসারে অহরহ অশান্তি লেগেই রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে একটি সমীক্ষা। স্মার্ট ডিভাইস নির্মাতা ভিভোর সোমবার একটি সমীক্ষা রিপোর্ট শেয়ার করেছে। সাইবার মিডিয়ার স্টাডি অনুযায়ী, মানব সম্পর্কের ওপর স্মার্টফোন কিভাবে প্রভাব ফেলছে সেই অনুযায়ী ২০২২ সালে একটি সমীক্ষা করা হয়। এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ এবং পুনের বহু মানুষ।
সমীক্ষা অনুযায়ী ৬৭ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন যে তারা স্ত্রীর সাথে যখন সময় কাটাচ্ছেন সেই সময়ও তারা ফোনের দিকে ব্যস্ত থাকেন। অপরদিকে প্রায় ৮৯ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন তারা তাদের স্ত্রীর সঙ্গে কম কথা বলেন, কিন্তু তারা চাইলে এর থেকে আরও বেশি সময় ব্যয় করতে পারতেন। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এই মতে সম্মত হয়েছেন যে তারা মুখোমুখি মিথস্ক্রিয়ায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য কিন্তু সেক্ষেত্রে তারা বেশি কম সময় ব্যয় করেন। এই গবেষণা জড়িত প্রায় ৮৪ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে তারা স্ত্রীর সাথে বেশি সময় কাটাতে চান। সমস্যা সমাধানে তারা নিজেদেরকে দ্রুত পরিবর্তন করতে প্রস্তুত। অপরদিকে ৮৮ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন যে স্মার্টফোনের অত্যাধিক ব্যবহারের কারণে স্ত্রীর সাথে তাদের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে। ৯০ শতাংশ মানুষ বলেছেন তারা অর্থপূর্ণ কথোপকথনের মাধ্যমে জীবন সঙ্গীর সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে চান।
সমীক্ষা অনুযায়ী যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে তারা প্রতিদিন প্রায় প্রতিদিন ঘরে ৪.৭ ঘন্টা শুধুমাত্র স্মার্টফোনের পিছনে ব্যয় করেন। এই সময় ব্যয় স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের জন্যই সমান। প্রায় ৭৩ শতাংশ পুরুষের বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামী তাদের সাথে বেশি সময় কাটানোর পরিবর্তে ফোনে বেশি ব্যস্ত থাকেন। ৭০ শতাংশ মানুষ বিরক্ত হন যখন স্ত্রী তাদের স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে কিছু কথা বলেন। ৬৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে স্মার্টফোনের অত্যাধিক ব্যবহারের কারণেই তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ছে। ভিভোর প্রধান জানিয়েছেন, বর্তমান জীবনে স্মার্টফোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু ব্যবহারকারীদের এটির অতিরিক্ত ব্যবহার সম্পর্কে একটু সতর্ক থাকা উচিত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম