।। প্রথম কলকাতা ।।
Viral Nandini: সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনসেশন ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। স্মার্ট দিদি নন্দিনী ভাতের হোটেল ছেড়ে এবার ট্রাভেল ভ্লগার। আপাতত নন্দিনীর দিয়ে ভূমিকা নিয়েছেন ইউটিউবারের ডালাহৌসি অঞ্চলের নন্দিনীর বাবার একটি ভাতের হোটেল আছে। সেখান থেকেই ভাইরাল হন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখন সেই নন্দিনী হলেন ট্র্যাভেল ভ্লগার। মাসখানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনসেশন ফেলে দিয়েছিল নন্দিনী। কলকাতার ডালাহৌসি অঞ্চলের নন্দিনীর বাবার একটি ভাতের হোটেল আছে। যা অফিস পাড়ায় খুবই কমন। বাবার হোটেলে সাহায্য করতেন নন্দিনী।জিন্স-টি শার্টের নন্দিনীতে একদিন চোখ আটকায় এক ফুড ভ্লগারের। আর তারপর ভিডিয়ো ইউটিউবে ছাড়তেই হিট।ডালাহৌসির সেই হোটেলের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন ইউটিউবাররা। সাক্ষাৎকার দিতে দিতেই খাবার পরিবেশন করতে থাকেন নন্দিনী। পাশের আর পাঁচটা দোকান মাছি মারলেও, নন্দিনীর বাবার দোকানে যাকে বলে উপচে পড়ে ভিড়।
এরপর নন্দিনী সোজা চলে আসেন দিদি নম্বর ১। আর পাঁচটা প্রতিযোগীর মতোই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আড্ডায় জানান জীবনের কষ্টের গল্প। চোখের জলও ফেলেন দিদির মঞ্চে। তারপর আর দিদির জনপ্রিয়তা কে আটকায়। আপাতত নন্দিনীদি ভূমিকা নিয়েছেন ইউটিউবারের। ‘নন্দিনী দিদি অফিসিয়াল’ নামের একটি চ্যানেল খুলে ফেলেছেন। যেখানে ভিডিয়োর সংখ্যা বেশ ভিলোই। তবে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা নিসন্দেহে তাক লাগানো। মাস চারেকের জার্নিতেই পেয়ে গিয়েছেন সাড়ে ১৫ হাজার ফলোয়ার্স। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
ইউটিউব চ্যানেলের প্রথম ভিডিয়োটি ছিল দিদি নম্বর ১ নিয়েই। তারপর বিয়ে বাড়ির ভ্লগ থেকে শুরু করে, মেলা-মোমো-বসন্ত উৎসব কী নিয়ে বানাননি ভিডিয়ো। তবে এবার নন্দিনীদি হয়ে গেলেন ট্র্যাভেল ভ্লগার। সুন্দরবন নিয়ে শেয়ার করে ফেলেছেন ট্র্যাভেল ভ্লগ। দু দুটো এপিসোড পেয়ে যাবেন সেখানে। ‘স্মার্ট দিদি’র এই নতুন ভূমিকায় খুশি তাঁর অনুরাগীরাও।
একজন কমেন্ট করলেন, ‘খুব ভালো লাগল ভ্লগটা আমার। সুন্দরবন যেতে ইচ্ছে করছে।’ আরেকজন লিখলেন, ‘সুইট নন্দিনীদিদি। খুব উপভোগ করো।’
বলে রাখি নন্দিনীর ভালো নাম কিন্তু মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। এমবিএ করেছেন। চাকরিও করতেন বেঙ্গালুরুতে। করোনায় তাঁর বাবা চক্রধারীবাবুর ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। তখনও রাজ্যের বাইরে নন্দিনী। চক্রধারীবাবু কিছুটা বাধ্য হয়েই অফিস পাড়ায় এক চিলতে দোকান খোলেন। স্ত্রী বিনা-র সঙ্গে মিলে তা সামলাচ্ছিলেন। এরপর হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিনা। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে কাজের জায়গায় দিন পনেরোর ছুটি নিয়ে ফেরেন কলকাতায় নন্দিনী। হাতে হাতে দোকান চালাতে থাকেন। তারপর বাবার ছোট্ট স্বপ্নটা পূরণ করতে ছেড়ে দেন নিশ্চিত মাসমাইনের চাকরি। বাদবাকিটা তো ইতিহাস।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম