Winter Drink to Stay Warm: শীতের সকালে চুমুক দিন এই বিশেষ পানীয়তে, শরীর ও মন চাঙ্গা থাকবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Winter Drink to Stay Warm: শীতকাল মানেই সকালে একটু আলসেমি আর ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়া। বারংবার অ্যালার্ম বাজলেও ঘুম যেন ভাঙতে চায় না। যার কারণে অফিসে লেট, আর সাথে বসের বকুনি। শীতের সকালে আপনাকে চাঙ্গা রাখতে পারে বেশ কয়েকটি সহজ পানীয়। শীতকালে একটু ভেবেচিন্তে পানীয়ে চুমুক দিতে হয়, কারণ ঠান্ডা লাগার ভয় রয়েছে। এমন কিছু পানীয় আছে যা আপনার মন শরীর চাঙ্গা করবে, পাশাপাশি উষ্ণ অনুভব পাবেন। শীতের সকাল চাঙ্গা করতে চা কফির জুড়ি মেলা ভার। এর পাশাপাশি এমন কিছু পানীয় রয়েছে যা শীতের সকাল আর সন্ধ্যে জমিয়ে দিতে পারে।

(১) শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং সারাদিন নিজেকে তরতাজা রাখতে সকালের ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন বাদাম দুধ। এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পানীয়। তৈরি করার পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ। প্রথমে কিছুটা কাজুবাদাম ভেঙে টুকরো টুকরো করে একটি কৌটোতে রেখে দেবেন। তাহলে প্রতিদিন বাদাম গুঁড়ো করতে হবে না। দুধে কিছুটা বাদামের গুঁড়ো মিশিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য ভালোভাবে ফুটিয়ে নেবেন। সুস্বাদু করতে সামান্য পরিমাণে জাফরান মেশাতে পারেন। যদি দুধ খেলে গ্যাস হয় সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

(২) কাশ্মীরের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পানীয় হল কাহওয়া। শীতে সকাল কিংবা সন্ধ্যায় শরীর গরম করতে এই পানীয়র কোনো তুলনা হয় না। এটি মূলত এক ধরনের সবুজ চা যার সঙ্গে দারুচিনি, জাফরান, এলাচ, চিনি কিংবা মধু দিয়ে তৈরি করা হয়। কখনো বা মিশিয়ে দেওয়া হয় সামান্য কাজুবাদাম গুঁড়ো।

(৩) গোটা পৃথিবীতে চকলেট প্রেমী নন এমন মানুষ হাতে গোনা। শীত পড়তেই চকলেটের প্রতি মানুষের আকর্ষণ একটু বেশি বেড়ে যায়। বিশেষ করে হট চকলেট শীতকে যেন বেশি উপভোগ্য করে তোলে। মন এবং শরীর দুটোই তাজা রাখতে শীতের সন্ধ্যায় হট চকলেটে চুমুক দিতে পারেন।

(৪) শরীকে উষ্ণ রাখতে ঘরে ঘরে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পানীয় হলেও হলুদ দুধ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কিংবা জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথার মতো সমস্যা দূর করতে এটি বেশ পরিচিত একটি পানীয়। দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে হলুদ দুধ।

(৫) শীতে শরীরে উষ্ণতা আনতে তালের গুড়ের চা বেশ উপকারী। এই চায়ের অনেক গুণ। বিশেষ করে যে বয়স্ক মানুষরা শীতে সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগায় ভুগছেন, তারা এই চা খেতে পারেন। এই গুড়ের চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। এই চা পানে শরীরের জমা দূষিত পদার্থ সহজে বেরিয়ে যায়।

(৬) চায়ের প্রচুর রকমফের রয়েছে। অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল গুণসমৃদ্ধ দারুচিনি চা পান করতে পারেন। অবসাদ কাটাতে, ব্যথা-উপশমে পান করতে পারেন হলুদ চা। এছাড়াও এই তালিকা রয়েছে আদা চা, পেপারমিন্ট চা, তুলসি চা, ল্যাভেন্ডর চা প্রভৃতি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version