।। প্রথম কলকাতা ।।
Mumbai Crime: বর্তমান প্রজন্ম ভালবাসার পরিভাষাটাকেই বদলে রেখে দিয়েছে। এতদিন জানা ছিল, ভালবাসলে একে অপরের খেয়াল রাখতে হয়। একে অপরের ভালো লাগাগুলোকে প্রাধান্য দিতে হয়। কিন্তু আজকালকার জেনারেশনের কাছে ভালোবাসার মানেটাই আলাদা। তা নাহলে পরপর এরকম ঘটনা ঘটত না। এবার মহারাষ্ট্রে (Mumbai) ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে বিছানার স্টোরেজ এরিয়ায় দেহ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে 2৭ বছরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তবে হার্দিক শাহ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের নাগদা জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত। বুধবার নালাসোপাড়ায় আনা হয়েছে তাঁকে। প্রেমের মরশুমে এরম ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের (Murder) কথা জানতে পেরে হইচই পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। কিন্তু কেন এমন পরিণতি হল তরুণীর? পুলিশ সূত্রে, মেঘা নামের ওই তরুণী একজন নার্স ছিলেন। এদিকে সেরকম কোনও কাজকর্ম করতেন না হার্দিক। বলতে গেলে, বেকার ছিলেন তিনি। তিন বছর তাঁদের সম্পর্ক, একসঙ্গে থাকছেন গত ছয় মাস ধরে। সংসারের সমস্ত খরচই ছিল মেঘার কাঁধে। আর তাই নিয়েই অশান্তি লেগে থাকত তাঁদের মধ্যে। যা চোখ এড়ায়নি প্রতিবেশীদেরও।
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁদের ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া গেলে, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারপরে উদ্ধার হয় ওই তরুণী নার্সের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘরে। ‘NDTV’ সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীকে হত্যা করার পর ঘরের কিছু জিনিসপত্র বিক্রি করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় হার্দিক। কিন্তু বেশি দূর পালাতে পারেন নি তিনি। তার আগেই অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রায় এক মাস আগে তাঁরা ওই ভাড়া বাড়িতে ওঠেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায়ই ঝগড়া হতো তাঁদের মধ্যে। অন্যদিকে মঙ্গলবারই রাজধানীতে ধাবার ফ্রিজের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক রেস্তোরাঁর মালিকের প্রেমিকার টুকরো টুকরো দেহ। সাহিল গেহলট নামে ওই ধাবার মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লির শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া রয়েছে এই দুই ঘটনাতেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম