চীনকে বড় ধাক্কা শেখ হাসিনার! মোদীর সঙ্গে বৈঠকে কীভাবে ঘুরল খেলা?

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনকে দূরে সরিয়ে দিল বাংলাদেশ। মোদী-হাসিনা বৈঠকে উল্টে গেল গোটা অঙ্ক। ভারতকে এক্সট্রা গুরুত্ব দিয়ে বড় বয়ান শেখ হাসিনার। ঠিক এটাই তো চেয়েছিল দিল্লি। মাত্র দেড় ঘন্টার একটা মিটিং তারপর বড়সড় ধাক্কা খেল বেজিং। চীনের সঙ্গে শুরু বাণিজ্যের সম্পর্ক আর কিছুই নয়। ভারত চীনকে বুঝিয়ে দিল বাংলাদেশ নিয়ে বেশি মাতামাতি করেও কোনও লাভ হবে না। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটা বয়ানই কাফি। মোদী-হাসিনা মিটিংয়ে ভারত-বাংলাদেশ ছাড়াও কড়া নজর ছিল বেজিংয়ের। এটা নতুন করে বলার দরকার নেই কিন্তু হাতেনাতে জবাবটা পেয়ে গেল চীন।

ভারত কী বাংলাদেশকে কোনও শর্ত দিল? কূটনৈতিক সূত্রে খবর ছিল ঢাকাকে একটা বার্তা দিতে পারে দিল্লি। বাংলাদেশের নির্বাচনে ফুল সাপোর্ট থাকবে দিল্লির, কিন্তু চীনের প্রভাব কমাতে হবে বাংলাদেশকে। শেখ হাসিনার মন্তব্যে যেন সেই ছবিটাই স্পষ্ট হয়ে গেল। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই বড় বয়ান শেখ হাসিনা বলে দিলেন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিতান্তই বাণিজ্যিক ও আর্থিক। রক্তের সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গী ভারতের সঙ্গেই। এর মানে চীনের সঙ্গে সম্পর্র বাণিজ্য ছাড়া এর থেকে বেশি কিছু নয় এটা শেখ হাসিনা একবারে পরিষ্কার করে দিলেন। কিন্তু কোন প্রসঙ্গে উঠল এমন কথা? মোদীকে কার্যত আশ্বস্ত করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হাসিনা নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার হস্তক্ষেপ ও চাপের কথাও নমোর কাছে তুলে ধরেছেন বলে সূত্রের খবর। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছেন নির্বাচন নিয়ে আমাদের সামনে তাঁদের কোনও কথা হয়নি। তাহলে কী পরে কথা বললেন মোদী ও হাসিনা?

যে বাংলাদেশকে নিয়ে সর্বদা ভারতে চাপ তৈরির চেষ্টা করে চীন, সেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত ও চীনের মধ্যে একটা ফারাকের লাইন টেনে দিলেন কার্যত। বুঝিয়ে দিলেন দুটো দেশের সঙ্গে একই সখ্যতা নয়। এবার এতে বেজিংয়ের প্রতিক্রিয়া ঠিক কী হয় সেটাই দেখার। জানা গিয়েছে মোদী ও হাসিনা এই দুই রাষ্ট্রনেতা ছাড়াও মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর-সহ দু’দেশের কর্তারা ছিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মোমেন। দু’দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর হয়েছে কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণায় সহযোগিতার জন্য্যইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব রিসার্চ এবং বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিল মউ স্বাক্ষর করেছে। এ ছাড়া দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে ‘রুপে কার্ড’ সংক্রান্ত চুক্তিপত্রে সই হয়েছে। এতে বোঝাই যাচ্ছে যেমনটা দাবি করেছিলেন নমো তেমনই ফলপ্রসূ হয়েছে তাদের এই বৈঠক।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version