ফেসবুক শিশুর ছবি শেয়ার করছেন! শিয়রে মারাত্মক বিপদ, সন্তানকে ঠেলে দিচ্ছেন বড় রিস্কে

।। প্রথম কলকাতা ।।

আপনি কি আপনার বাচ্চার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করছেন? প্রচুর মানুষ লাইক করছে, শেয়ার করছে। আবার কেউ বা করছেন নানান মন্তব্য। যদি এমনটা করে থাকেন তাহলে একটু সাবধান। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে শেরেন্টিং বিপদের জাল। এই ফাঁদে একবার পড়লে বেরোনো ভীষণ মুশকিল। এই শেরেন্টিং কি? কীভাবে এই মায়াজাল থেকে শিশুকে দূরে রাখবেন?

অনেকেই আছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ অ্যাক্টিভ। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রতিনিয়ত নিজেদের বাচ্চাদের ছবি শেয়ার করেন । বাচ্চা কি খাচ্ছে, সারাদিন কি করছে, কিভাবে খেলাধুলো করছে, কতক্ষণ পড়াশুনা করছে সেই নিয়ে নানান ভিডিও বানান। আবার কেউ বা ছবি তুলে সিরিয়ালি সেগুলো পোস্ট করেন। অনেকে কমেন্ট আর লাইক পাওয়ার জন্য এতটাই মগ্ন যে শিশুর ছবি পোস্ট করার আগে ভুলেই যান, ঠিক কতটা ঝুঁকি বা রিস্ক রয়েছে। এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপেন প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করছেন সন্তানের ব্যক্তিগত তথ্য। এই ধরুন কোন স্কুলে পড়ে, ডেট অফ বার্থ, প্রাইভেট টিউটরের কাছে যাওয়ার সময়, কি কি জিনিস খেতে পছন্দ করে, কেমন পোশাক পরে, থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি যাবতীয় তথ্য।

ভেবে দেখেছেন কি, আপনার অজান্তে সাইবার অপরাধীরা বিছিয়ে রেখেছে ভয়ঙ্কর জাল। আপনার শেয়ার করা সন্তানের তথ্য চুরি করছে তারা। তারপর সেগুলো হোক ব্যবহার করছে অপরাধমূলক কাজে। এমনকি ব্যবহার করতে পারে অনলাইন চাইল্ড পর্নের ক্ষেত্রেও। বিপদের তালিকাটা এখানেই শেষ নয়। বহু অপরাধী প্রথমে শিশুর বাবা মায়ের নামে ভুয়ো প্রোফাইল খোলে। তারপর পরিচিতদের কাছে নানান অজুহাতে টাকা চায়। আবার কেউ ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। যাকে বলা হয় ডিজিটাল কিডন্যাপিং। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে আপনার শিশুর কণ্ঠস্বর নকল করে ব্ল্যাকমেইল করতে পারে অপরাধীরা। যা ডিপফেকিং নামে পরিচিত।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সম্প্রতি শেরেন্টিংয়ের কারণে যেভাবে শিশুদের তথ্য ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হচ্ছে তাতে ২০৩০ সাল নাগাদ এই সংখ্যাকে পৌঁছাবে প্রায় ৭০ লক্ষে। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ পৌঁছাতে পারে বছরে প্রায় ৬০ কোটি ৭০ লক্ষ পাউন্ডে। সম্প্রতি বায়োমেট্রিকের সাহায্যে তথ্য হাতিয়ে প্রচুর জালিয়াতির খবর আসছে। নিমেষে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে ততই সাইবার অপরাধী আঁটছে নতুন নতুন ফন্দি। আপনার বাচ্চার ছবি বিকৃত হওয়ার আগেই সাবধান হয়ে যান।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version