রেহানার সাহস আমাদের অনুপ্রেরণা, তার গানে আছে বেঁচে থাকার রসদ! শুনে দেখুন

।। প্রথম কলকাতা ।।

চুল উসকো খুসকো, চোখে চশমা। কথায় জড়তা। অস্পষ্ট উচ্চারণ। কিন্তু গলায় অসাধারণ সুর। এই মেয়ের সাহস আমাদের অনুপ্রেরণা। গলার সুর অনেকের বেঁচে থাকার রসদ। ক্যামেরার দিকে নজর নেই। নাম রেহানা রায়জা হক। প্রতিবন্ধকতার পাহাড় ডিঙিয়ে আপন মনে গেয়ে চলেছে গান। শুনলে এক মুহূর্তে মনটা ভালো হয়ে যায়। “তুমি অন্য কারোর সঙ্গে বেঁধো ঘর” অনুপম রায়ের এই গানের প্রত্যেকটা লাইন যেন বাঙালির হৃদয়ের কথা। এই গানের সাথে ছন্দ মিলিয়ে রেহানা ঘর বেঁধেছে নিজের জগতে। অন্য কারোর সঙ্গে নয়। যেখানে স্বপ্ন বোনে নিজের মতো করে, যে বুনন শাড়ির সুতোর মতো অত্যন্ত নিখুঁত নিপুণ। দেখে বুঝতেই পারছেন। এই এত বড় গানের প্রত্যেকটা লাইন আমাদের কাছে মনে রাখার যতটা সহজ, ততটা কিন্তু এই মেয়েটির কাছে নয়। একরাশ প্রতিবন্ধকতা পার করে অসাধারণ গলায় গানটাতে সুর দিয়েছে। শুনে মুগ্ধ নেটিজেনরা। কমেন্টে বইছে শুভেচ্ছা আর আশীর্বাদের বন্যা ।

“তোমার নৌকার মুখোমুখি আমার সৈন্যদল”, মনে পড়ছে এই লাইনটা? যেখানে বাঁচার লড়াই সবার সবার মতো , কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভিন্ন পথে হাঁটতে হয় এই প্রতিভাবান শিল্পীদের। নিজের জগতে স্বপ্ন দেখে দু চোখ ভরে। জীবনের পরতে পরতে রয়েছে ঝড়-ঝাপটা। যেগুলোকে ওভারকাম করা বড্ড কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। কথায় জড়তা, বহু শব্দ বেশ অস্পষ্ট। আবার কোন শব্দ বোঝাই যাচ্ছে না। কিন্তু মনের চেষ্টা সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। একেই হয়তো বলে জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়া। এমনটা কজন পারে বলুন তো?

এটা এমন একটা রোগ যেখানে শিশুর মস্তিষ্ক সঠিকভাবে বিকাশ পায় না। সমাজের সবকিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বড় হয়ে ওঠাটাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর সামাজিক আচরণ বদলাতে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে স্নায়ুর ত্রুটির কারণে শিশুর মানসিক বদল স্বাভাবিক নয়। কথা বলা, সামাজিক মেলামেশা, স্বাভাবিক মানসিক বৃদ্ধির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় কিছু প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এই শিশুরা বিশেষ দক্ষতার অধিকারী হয়ে থাকে। এদের পাশে একটু দাঁড়ান, অনুপ্রাণিত করুন। দেখবেন এরা এক একটা রত্ন । প্রচুর ট্যালেন্টে রয়েছে। অনেক কিছু করতে পারে। প্রতিবন্ধকতার পাহাড় ডিঙিয়ে রেহানার গান সত্যি প্রশংসনীয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version