Weather Update: কয়েক ঘণ্টাতে বাংলায় স্বস্তির বৃষ্টি! কবে – কোথায় জানুন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Weather Update: আর বেশিক্ষণ গরম সহ্য করতে হবে না। আর কয়েক ঘন্টাতেই আসছে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টি নামতে পারে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায়। আপনার এলাকায় কবে ঝেঁপে বৃষ্টি হবে? আলিপুর আবহাওয়া দফতর কী বলছে জানুন। তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। ভারতের থেকে আশঙ্কা বাড়ছে বাংলাদেশের। প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে উপকূলে। কতটা প্রসতুত ওপার বাংলা? আতঙ্ক নয় সাবধান হন।

বঙ্গোপসাগরের তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকা৷ ধীরে ধীরে তা পরিণত হচ্ছে আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোকা আছড়ে পড়ার আগেই দক্ষিণবঙ্গের ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা৷ গরম কমবে কবে? বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ভিজতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের তিনটি জেলা দক্ষিণবঙ্গের গত দুদিনের অসহ্য গরম কিছুটা কমবে। দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আর বেশিক্ষণের অপেক্ষা নয়। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মিলতে চলেছে স্বস্তির বৃষ্টি।

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভিজতে চলেছে বাংলা। মোকা-র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হবে আগামী শনিবার থেকে। যা চলতে পারে রবিবার পর্যন্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং
পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টি হতে পারে বৃষ্টি। না হলেও শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৯টি জেলায় আর তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে না। কলকাতাতে চড়চড়িয়ে বাড়ছে পারদ। আপাতত কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।

কোথায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোকা?

১২ মে পর্যন্ত মোকা আরও শক্তি সঞ্চয় করতে চলেছে। ১৪ মে তা স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। সে সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের উপকূলবর্তী অঞ্চলে তা আঘাত হানতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও বহু বিধ্বসী ঘূর্ণিঝড় দেখেছে বাংলাদেশ। এবার আগে থেকেই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম সহ অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় সব আশ্রয়কেন্দ্র এবং ত্রাণশিবির প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কক্সবাজার জেলার ৫৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা। প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪ টন ড্রাই কেকসহ শুকনা খাবার, ২০০ মেট্রিক টন চালও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে‌ কক্সবাজার জেলায় সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সেনা এবং পুলিশ ওই এলাকার বাসিন্দাদের ত্রাণশিবিরে আসার জন্য সাহায্য করা হবে। সেখানে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আগাম সতর্কবার্তা প্রচার করাও হচ্ছে। তথ্য পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদনে।

ভারতে আপাতত ঘূর্ণিঝড় নিয়ে চিন্তার কারণ নেই বলছেন আবহবিদরা। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা। শুক্র-রবিবার পর্যন্ত বাংলার মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version