Widow playing Holi: সাদা শাড়িতে লাল বসন্ত, বৃন্দাবনে বিধবাদের হোলি কেমন হয়?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Widow playing Holi: বৃদ্ধা মাকে ছেলে-মেয়ে আঁস্তাকুড়ে ফেলে দিয়েছে। দুঃখী মায়ের ঠাঁই হয়েছে বৃন্দাবনে (Vrindavan)। দারিদ্র বা কষ্ট যতই থাকুক, ছেলের বৌয়ের মুখ ঝামটা নেই এখানে। নেই অমানুষ ছেলের হাতে অপমানিত হওয়ার যন্ত্রণা। তবুও এদের বেরঙিন জীবনে রঙ লাগে বছরের এক বিশেষ সময়ে। সাদা-কালো জীবনটা রঙিন হয়ে উঠে দোলের (Dol utsav) দিন।বৃন্দাবনের কয়েক হাজার বিধবাদের দোলের উচ্সব কেমন হয় দেখুন!

কারোর বয়স ১৯ কারো ৪০ পেরিয়েছে, কারোর ৫২
কেউ কেউ আছেন ৮০, ঠিক করে হাঁটতে পারেন না।
বয়সের ফারাক থাকলেও এদের সকলের নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে একটাই শব্দ ‘বিধবা (widow)’। শুভ উৎসবের নানান কাজে যাওয়া তাঁদের মানা সাদা থান পরা মানুষগুলো আবার হোলি খেলবে কী! দিনের পর দিন সহ্য করে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন নিজেরাই।নিজেরাই পিচকিরি, আবির নিয়ে নেমে পড়েন। ২০১৩ সাল থেকে প্রাচীন প্রথা ভেঙে বৃন্দাবনের (vrindavan)বিধবারাও সকলে অংশ নেন এই উৎসবে। রঙের আনন্দে কোনও বিভেদ নেই।বৃন্দাবনের গোপীনাথ মন্দিরে (Gopinath Mandir) দোলের সময়ে গেলেই, নিজেই দেখতে পাবেন।

বিধবা, এমন এক শব্দ, যা কেড়ে নিয়েছে ওদের জীবনের সমস্ত রঙ। বৃন্দাবনের সবথেকে পুরনো মন্দির গোপীনাথ মন্দির এখানে আশ্রিতা সবাই গোপী।বৃন্দাবনের গোপীনাথ মন্দিরের সাদা ক্যানভাস রঙিন হয়ে উঠে এই দিনগুলোতে। আশ্রমের চারদিকে ঘোরানো ছাদের ব্যালকনি থেকে ঝরে পড়ে ফুলের পাপড়ি।উড়তে থাকে নানা রকমের ভেষজ রঙ ধূসর জীবন মুহূর্তেই হয়ে উঠে রঙিন ,জল ভরা বেলুন ছুড়ে দেন একে অন্যের দিকে।কারও মুঠো ভর্তি লাল আবির।সঙ্গে চলে মিষ্টিমুখের পালা। আবিরের সুন্দর গন্ধে ম-ম করতে থাকে প্রাচীন গোপীনাথ মন্দির।এদিন তাদের মুক্তি দিন। বসন্তের রঙ (Basanta utsav) মেখে বাচ্চা মেয়ের মতো নেচে উঠেন সকলে। বৃন্দাবনে ফাগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে হাসি ফোটে এখানকার বিধবাদের মুখেও।

মথুরা, নন্দগাঁও, বৃন্দাবন ও বারসানাকে বলে ব্রজভূমি। এখানে ৪০ দিন ধরে চলে দোল উৎসব পালন। যা দেখার টানে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন।শ্রীকৃষ্ণ হোলি খেলে রঙিন হতেন এখানে। সমাজের মূল স্রোত থেকে দূরে সেই ধূসর মানুষগুলোও এদিন রঙের নেশায় মেতে উঠেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version