Rahul Gandhi: জেল হতে পারে রাহুল গান্ধীর! বাঁচতে সামনে কোন পথ খোলা?

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Rahul Gandhi: রাহুল গান্ধীর(Rahul Gandhi) কাঁধে এখন ঝুলছে মানহানি মামলার সাজা। মোদী পদবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় এখন চরম বিপাকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সুরাটের আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি এপ্রিলের ৩ তারিখে সুরাটের দায়রা আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, কিন্তু দায়রা আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি শাস্তি হিসেবে তাঁকে জেলে যেতে হবে? এই শাস্তি এড়াতে সমস্ত রকম বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।

 

‘অমর উজালা’য় ( হিন্দি) প্রকাশিত ‘মোদি পদবি’ মামলায় বৃহস্পতিবার দায়রা আদালত থেকে বড় ধাক্কা পেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। রাহুল গান্ধী আবেদনে নিম্ন আদালতের দেওয়া দুই বছরের সাজা স্থগিত চেয়েছিলেন। এখন রাহুল গান্ধীর সাজা বহাল থাকবে। সেই সঙ্গে তাঁর উপর জেলের খড়্গও ঝুলতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধীর কাছে কী কী বিকল্প আছে? রাহুল গান্ধীকে কী এখন জেলে যেতে হবে?। বিষয়টি বোঝার জন্য ‘অমর উজালা’র প্রতিনিধি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট অশ্বিনী উপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আদালত রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের সাজা দিয়েছে। এই শাস্তির ভিত্তিতে তিনি সংসদ সদস্যপদ হারান।

 

এখন দায়রা আদালতও তাঁর আবেদন খারিজ করেছে, যেখানে তিনি নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়েছিলেন। রাহুলের কাছে এখন বাঁচানোর একটাই পথ। দায়রা আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। যদি তাঁর আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়, তাহলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন”। অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেছেন, রাহুল গান্ধীকে ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ নিম্ন আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। এরপর সাজা এক মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাঁর বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে যাওয়ার সুযোগ দেয় আদালত। ২০ এপ্রিল দায়রা আদালত তাঁকে কোনো স্বস্তি দেয়নি। তার মানে তাঁর শাস্তি এখনও অক্ষত। এমতাবস্থায় হাইকোর্ট বা কোনো উচ্চ আদালত থেকে রেহাই না পেলে তাঁকে কারাগারে যেতে হতে পারে।

২৩ শে মার্চ, সুরাটের সিজেএম আদালত মোদী পদবি সম্পর্কে ২০১৯ সালে করা মন্তব্যের মামলায় রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে রায় কার্যকর করতে ৩০ দিনের সময় বেঁধে দেয় আদালত। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় কর্ণাটকের একটি সমাবেশে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “মোদী পদবীর সকলের চোর হয় কেন? তা সে নীরব মোদীই হোক বা ললিত মোদী কিংবা নরেন্দ্র মোদী”। এই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক ও গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। ২৩শে মার্চ নিম্ন আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। পরের দিনই লোকসভার সদস্যপদ হারান তিনি। এছাড়াও সরকারি বাসভবন খালি করার নোটিশও পেয়েছেন।

Exit mobile version