ইজরায়েল যুদ্ধে পুতিনের মারাত্মক স্ট্র‍্যাটেজি! হারতে পারে ইউক্রেন, নতুন খেলা

।। প্রথম কলকাতা ।।

পুতিনের চরম হুঁশিয়ারি ইজরায়েলকে। কেন গাজা এত গুরুত্বপূর্ণ পুতিনের জন্য নিজের যুদ্ধ ছেড়ে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধে কেন আগ্রহ রাশিয়ার? একমাত্র পুতিন কি পারবেন ইজরায়েল-প্যালেস্টাইনের মধ্যস্থতা করতে? রাশিয়া কি হামাসকে কোনওভাবে সাহায্য করেছিল এই যুদ্ধে? কার পক্ষে আসলে কথা বলছেন পুতিন? ইজরায়েল প্যালেস্টাইন যুদ্ধ থেকে বড়সড় লাভ হতে পারে রাশিয়ার। এমনকি বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে চলা যুদ্ধে জিতে যেতে পারে মস্কো শুনুন পুতিন আসলে চাইছেন অনেক বড় কিছু। আর পুতিনের সেই ইনটেনশন কি সেটা বোঝা যায় ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকে একের পর এক তাঁর মন্তব্য লক্ষ্য করলেই।

কখনও তিনি বলছেন হামাসের হামলা থেকে বাঁচার জন্য ইজরায়েলের আত্মরক্ষা প্রয়োজন আছে। আবার কখনও তিনি বলছেন গাজায় ইজরায়েল যে হামলা চালিয়েছে সেটা কোনওমতেই গ্রহনযোগ্য নয়। প্রশ্ন উঠছে রাশিয়া আসলে কার পক্ষে? বিশেষজ্ঞদের দাবি এই একটা যুদ্ধ থেকে বড়সড় ফায়দা তোলার কথা ভাবছেন পুতিন প্রথমত আমেরিকাকে কার্যত তুলোধনা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন যা বলার চেষ্টা করছেন গোটা বিশ্বকে তা হল মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির ব্যর্থতার একটি উদাহরণ এই যুদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্য সংকটের জন্য আমেরিকাই মূলত দায়ী পুতিন বারবার এই এজেন্ডা প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন বিশেষজ্ঞরা এমনটাই বলছেন। কারণ এটা একটা বড় স্ট্র্যাটেজি মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটনের প্রভাব কমিয়ে রাশিয়ার অবস্থান শক্ত করার।

দ্বিতীয়ত রাশিয়া চাইছে এই যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারক হয়ে উঠে আসার কারণ। পুতিন একবার ইহুদিদের হয়ে কথা বলছেন আবার একবার বলছেন প্যালেস্টাইনের স্বার্থ দেখা উচিত।  এবার পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানালেন আসল কথা। পেসকভের দাবি রাশিয়া এই সংকটের সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে এবং সেটা করবে। আমরা এই সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকেই বলছেন যারা নিজেরাই যুদ্ধ বাঁধিয়ে বসে আছে তারা কিভাবে শান্তির বার্তা দিতে পারে? মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার দীর্ঘ দিনের স্বার্থ রয়েছে সেটা শুরু হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন আরবদের সমর্থনে অবস্থান নেওয়ার মধ্য দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলায় ওই অবস্থান নিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। বছরের পর বছর ধরে রাষ্ট্রীয় মদদে ইহুদিবিদ্বেষ সোভিয়েত আমলের অংশ হয়ে উঠেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙনের পর ইসরায়েলের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে। এর একটা বড় কারণ ছিল সোভিয়েতভুক্ত দেশগুলো থেকে ১০ লাখের বেশি ইহুদির ইসরায়েলে পাড়ি জমানো।

এখন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালনকারী দেশ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরে ওই অঞ্চলে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া। তৃতীয়ত এই যুদ্ধ যত বাড়বে তাতে আমেরিকার সক্রিয়তাও বাড়বে সেক্ষেত্রে হতেই পারে ইউক্রেনকে অস্ত্রসাহায্য কমিয়ে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এটা পুতিনের কাছে জ্যাকপটের থেকে আর বড় কিছু হতে পারবে না। তাই এবার স্বাধীন প্যালেস্টাইন ও আলাদা ইজরায়েল প্রতিষ্ঠা দুটোই চাইছেন ভ্লাদিমীর পুতিন। আর এই যুদ্ধে হামাসকে সরাসরি সাহায্য করেছে কিনা রাশিয়া এটা নিয়ে কিন্তু বহু দ্বিমত রয়েছে। অনেকেই বলছেন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে হামাসের এবং দেশটা ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেক বিশেষজ্ঞরাই মনে করছেন যে এই হামলার সঙ্গে মস্কোর কোন সরাসরি যোগ নেই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version