।। প্রথম কলকাতা ।।
রাশিয়ার চেকমেট! ফাইটার জেট সু-৭৫ এর নামে প্রাণ শোকাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের। ন্যাটোর সঙ্গে হাই পাওয়ার অ্যাকশনের তোরজোড়? ফাইটার জেটের বাজারে বড় মাস্টারপ্ল্যান মস্কোর। কেন রাশিয়ার বিমান বাহিনী সু ৭৫-এ এতো ভরসা রাখছে?কবে প্রথম উড়ান? ইউক্রেন যুদ্ধে সু ৭৫ ই কী গেমচেঞ্জার? কেনার প্ল্যানে কোন কোন দেশ? যুক্তরাষ্ট্রের এফ ৩৫ কে বলে বলে টেক্কা দেবে রাশিয়ার সু ৭৫ চেকমেট। অর্থাৎ, পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার জেট সু ৭৫ চেকমেট আগামী দিনে আকাশযুদ্ধকে বদলে দিতে রাশিয়ার কাছে যে নতুন হাতিয়ার হতে যাচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই। এটাকে বলা হচ্ছে এলটিএস বা লাইট টেকনিক্যাল এয়ারক্র্যাফ্ট।
এক ইঞ্জিনের এই যুদ্ধ বিমানটি হতে চলেছে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর আগামী দিনের সেরা অস্ত্র। যুদ্ধযানটিতে নকশা এবং বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে সু ৩৫, সু ৫৭ ও মিগ ফাইটারের সংমিশ্রণ থাকবে। অর্থাৎ, এই ফাইটার জেটটির ক্ষমতা হবে মারাত্মক। এর রাডার, সেন্সর, অ্যাটাকিং পাওয়ার এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের সব কিছুই হবে ইউনিক। অপারেটিং সিস্টেম হবে তুলনামূলক সহজ, ব্যবহৃত হবে অনেক কম ইকুইপমেন্ট। পাইলট সিস্টেমের দিকে কম মনোযোগ রেখে টার্গেটের দিকে কনসেনট্রেট করা যাবে সহজেই। অত্যাধুনিক এয়ার টু ইয়ার এবং এয়ার টু সারফেস মিসাইল বহন করতে পারবে এই ফাইটার জেট। থাকবে বিভিন্ন ধরনের বোমা বহনের ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে এই ফাইটার জেটটি ৭৪০০ কেজি ওজনের অস্ত্র ক্যারি করতে পারবে। এক ইঞ্জিনের বিমানটি ইন্টারনাল ফুয়েল ট্যাংকের মজুদ দিয়ে ১৮০০ মাইল পর্যন্ত উড়তে পারবে। এক্সটার্নাল ফুয়েল ট্যাংক যুক্ত করলে এর দূরত্ব বেড়ে যাবে অনেক খানি। আধুনিক প্রযুক্তিতে এই যুদ্ধযানটি ছাড়িয়ে যাবে বর্তমানের সব ফাইটার জেটকে। এই ফাইটার জেটটি কে নিয়ে রাশিয়া কোনো ধরনের একচেটিয়া মনোভাব দেখাবে না।
মানে সার্ভিসে যোগ দেওয়ার শুরু থেকে এটি রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হবে। যেমন, যুক্তরাষ্ট্র তার ন্যাটো মিত্রদের নিয়ে গড়ে তুলেছে এফ ৩৫ এর যৌথ প্রকল্প। তাই মস্কো তলে তলে সু 75 দেওয়ার ছক কষছে মিত্র দেশগুলোকে।ফাইটার জেটের বাজারে বিশাল এক মাস্টার প্ল্যান নিয়ে রাশিয়া তৈরি করছে এই যুদ্ধযানটিকে। যাতে কুপোকাত হবে শত্রু দেশ, আবার ক্রেতা দেশগুলোর কথা মাথায় রেখে এর দামও রাখা হবে কম। টার্গেটে রয়েছে কী ন্যাটো? ভেতরের খবর ন্যাটোর সাথে আকাশযুদ্ধে রাশিয়ার অ্যারো স্পেস ফোর্স যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতে অনেকদিন ধরেই উন্নত ফাইটার জেট চাইছিল মস্কো। তাই নতুন এই যুদ্ধযানের নকশা হাতে পেতেই সেটা লোভে নিতে দেরী করেননি পুতিন।
৭ বছর আগে এই যুদ্ধযানটি কে নিয়ে শুরু হয়েছিল পরিকল্পনা। যদিও, এই যুদ্ধযানটি এখনো ডেভেলপমেন্টের পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের কথা থাকলেও তা পিছিয়েছে। তবে, ২০২১ সালে রাশিয়ায় একটি ৬ দিনের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে দেশটির তৈরি কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট, হেলিকপ্টার, ড্রোন, আন্টি এয়ারক্র্যাফট মিসাইল সহ অত্যাধুনিক কিছু সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হয়েছিল। প্রদর্শনীতে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় স্বার্থ ছিল তার সর্বাধুনিক ট্যাকটিক্যাল ফাইটারের জন্য ক্রেতা বাছাই করা। সেখানেই তারা পরিচয় করিয়ে দেয় সু ৭৫ চেকমেট এর সঙ্গে। প্রাথমিকভাবে এই মডেলের ৩০০ টি ফাইটার বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়া। তবে পরে এই সংখ্যা বাড়তে পারে। এই পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার জেট সু ৭৫ চেকমেট রাশিয়ার আকাশে কবে থেকে রাজত্ব করবে, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা। যদিও সু ৭৫ এর খবরে অলরেডি ঘুম উড়ে গেছে ইউক্রেনের। চিন্তায় পড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম