Droupadi Murmu: পশ্চিমবঙ্গে ২ দিনের সফরে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, দেওয়া হবে বিশেষ সংবর্ধনা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Droupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি (President) হওয়ার পর এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সফরে আসছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে রাজ্য সরকার তাঁকে বিশেষ সংবর্ধনা দেবে। ২০১৭ সালেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে সংবর্ধিত করেছিল। সেই সময় রামনাথ কোবিন্দ প্রথম বার পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন। দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি হবার ৯ মাস পর আসছেন পশ্চিমবঙ্গে।

২ দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি কলকাতায় পৌঁছাবেন ২৭শে মার্চ সকাল বেলায়। এই দিন বিকেলে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর উদ্যোগে এই আয়োজন। ২৭শে মার্চ তিনি দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে সরাসরি চলে যাবেন নেতাজি ভবনে। সেখানে সুভাষ বসু স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর কথা। তারপর যাবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। গত বছর জুলাইতে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যে বিশেষ সংবর্ধনা আয়োজন করেছে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২৭শে মার্চ তিনি কলকাতায় এসে তার পরের দিন অর্থাৎ ২৮শে মার্চ যাবেন বেলুড় মঠে । তারপর সেখান থেকে যাবেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে। সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে তাঁর দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা।

২০২২ এ রাষ্ট্রপতির কুর্নিশে বসেন দ্রৌপদী মুর্মু বসেন। তিনি প্রথম আদিবাসী কোন মহিলা, যিনি রাষ্ট্রপতি পদে বসেছেন। যদিও এর আগে তিনি ছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাজ্যপাল ( নবম)। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা হতেই শুরু হয়েছিল তুমুল চর্চা। আজকে যিনি দ্রৌপদী মুর্মু, তাঁর জীবন ছোট থেকেই ছিল নানান সমস্যায় জর্জরিত। জীবনে পেয়েছেন অনেকগুলি ধাক্কা। পাশাপাশি তাঁর ঝুলিতে রয়েছে প্রায় আড়াই দশকের রাজনৈতিক জীবন। মেয়েকে মানুষ করতে করেছিলেন শিক্ষকতার চাকরি। ২০ জুন অর্থাৎ সোমবার ছিল তাঁর জন্মদিন , এই শুভ দিনের পরের দিনই তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার ময়ুরভঞ্জ আদিবাসী জেলার এক পিছিয়ে পড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এই জেলাটি ছিল উড়িষ্যার পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম। শৈশবে তাঁকে প্রতি মুহূর্তে লড়াই করতে হয়েছে ক্ষিদে আর দারিদ্র্যতার সঙ্গে। চরম আর্থিক সঙ্কট আর টানাটানির মধ্যে তিনি পড়াশোনা করেছেন। স্নাতক করেন ভুবনেশ্বর রমাদেবী ওমেন্স কলেজ থেকে। তারপর কর্ম জগত শুরু করেছিলেন ওড়িশার সেচ ও বিদ্যুৎ দপ্তরে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ( ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩)। তার কিছুদিন পর তিনি এই সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে যুক্ত হন শ্রীঅরবিন্দ ইন্টিগ্রাল কলেজে( ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭)।
রাজনৈতিক জীবন
•১৯৯৭ সালে পৌর নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণ করেন। পদ পান রাইরংপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে।
• ২০০২-২০০৯
বিজেপির আদিবাসী মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য
• ২০০০-২০০৪
বিজেপি বিধায়ক, জিতেছিলেন ওড়িশার রাইরংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে।

•২০০৬-২০০৯

ওড়িশা বিজেপির আদিবাসী মোর্চার সভানেত্রী

• ২০১০ সালে ময়ূরভঞ্জ পশ্চিমের জেলা বিজেপি সভাপতি হন।

• ২০১৫ – ২০২১
ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল
পুরষ্কার – উড়িষ্যার বিধানসভার তরফ থেকে ২০০৭ সালে সেরা বিধায়ক বা স্টার পারফরমার বিধায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন নীলকন্ঠ পুরস্কার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version