।। প্রথম কলকাতা ।।
ইন্ডিয়ান আর্মির ভাগ্য বদলাবে প্রবাল। একবারে ৬ রাউন্ড ফায়ারিং এর পাওয়ার ভারতের হাতে। জল-কাদাতেও গুলি ছুটবে তীরের মতো। মিস ফায়ারের সুযোগ জিরো পার্সেন্ট। চাইলেই প্রবাল ব্যবহার করতে পারবেন? অস্ত্র আইন কী বলছে? কাদেরকে সেফ গার্ড দেবে প্রবাল? দাম শুনলে মাথা ঘুরে যাবে। শত্রুপক্ষকে ঝাঁঝরা করতে ভারতের হাতে মারণাস্ত্র। দেশের প্রথম লং রেঞ্জ রিভলভার ‘প্রবাল’। একবারে হবে ৬ রাউন্ড ফায়ার। অথচ, রিভলভারের ব্যারেল আর সিলিন্ডারে পড়বে না এফেক্ট।দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই রিভলভারের ফায়ারিং রেঞ্জ ৫০ মিটার পর্যন্ত।
এমআইএম প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে প্রবাল যা মূলত মহাকাশযান, বিমান এবং অন্যান্য গুরুতর চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তাই ‘প্রবাল’ থেকে মিস ফায়ারের কোনও সুযোগই নেই। তাছাড়া “প্রবাল”-এ এমন অনেক ছোট ছোট উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে যার জেরে, প্রবাল অন্য রিভলবারের চেয়ে অবশ্যই বেশি টেকসই। কাদা এবং জলেও প্রবালের পরীক্ষা হয়েছে! তাতে সফল হয়েছে প্রবাল। বাজারে কোল্ট সহ অন্যান্য রিভলভারের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা রয়েছে প্রবালের। ইন্ডিয়ান আর্মি যখন অপারেশনে থাকে, তখন তারা তাদের অস্ত্রের উপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে। সেই কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে এই সাইড সুইং ভিত্তিক রিভলভার, যে সাইড সুইং সিলিন্ডার দিয়ে সহজে ট্রিগার টানা যায়। বাজারে অন্যান্য রিভলবারে কিন্তু এই সুবিধা নেই। ওই সমস্ত রিভলবারে কার্তুজ ঢোকানোর সময় ভাঁজ করতে হয়। এক্ষেত্রে সেটা হবেনা।
কারা প্রবাল ব্যবহারের সুযোগ পাবেন?
১৮ অগস্ট থেকে শুধুমাত্র বন্দুকের লাইসেন্স রয়েছে, এমন ব্যক্তিরা ‘প্রবাল’ কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অস্ত্র আইন ১৯৫৯ অনুসারে, ভারতীয় নাগরিকদের .৩৫, .৩২, .২২ এবং .৩৮০ বোরের বন্দুক রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। NPB বন্দুকের মালিক হওয়ার লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সরকারের শর্তগুলি পূরণ করতে হয়। আর শর্ত পূরণের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট ফর্ম। এতে বলা হয়েছে যে যেকোনো ব্যক্তি তার ব্যবসা, পেশা কিংবা জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য আবেদন করতে পারেন! এছাড়া, কমপক্ষে দু বছর একটি শুটিং ক্লাব বা রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আছেন এমন ব্যক্তি রিভলবার রাখার জন্য করতে পারেন আবেদন। কোনও ব্যক্তি প্রতিরক্ষা বা সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করলেও, একটি NPB বন্দুক রাখতে পারবেন বলে আইনে বলা হয়েছে। দাম কত? জানা যাচ্ছে, দাম জিএসটি-সহ ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৮০০ টাকা। ডিলারের জন্য এর দাম ২৮ শতাংশ জিএসটি-সহ ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৭২০ টাকা।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরের সরকারি মালিকানাধীন ‘অ্যাডভান্সড ওয়েপন অ্যান্ড ইকুইপমেন্টস ইন্ডিয়া লিমিটেড’ ‘প্রবাল’ তৈরি করেছে। এদের মোট আটটি কারখানা রয়েছে। ওই সব কারখানায় ছোট অস্ত্র এবং আর্টিলারি বন্দুক তৈরি হয়ে থাকে। চলতি বছরে অ্যাডভান্সড ওয়েপন অ্যান্ড ইকুইপমেন্টস ইন্ডিয়া লিমিটেড প্রতিরক্ষা পণ্য তৈরির জন্য ৬ হাজার কোটি টাকার বরাত পেয়েছে! চুক্তিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ৩০০টি ‘সার’ কামানের অর্ডারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম