।। প্রথম কলকাতা ।।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিনের দবদবা শুরু। পিওকে-তে যখন তখন ধুন্ধুমার হতে পারে। পিওকে ফেরত নেওয়া মোদী সরকারের বড় এজেন্ডা হাতেনাতে মিলল প্রমাণ। কীভাবে ভারত ছিনিয়ে নেবে পিওকে পাকিস্তানের থেকে?
ইসলামাবাদ আতঙ্কে কাঁপছে। বিলাবল ভুট্টো গোয়ায় পৌঁছনোর আগেই তুলকালাম হতে পারে পিওকেতে? কি করবে পাকিস্তান? একদল বলছেন ভারত পিওকে নিয়ে অ্যাকশন শুরু করলেই পাকিস্তান নয় প্রথম আটকাবে ড্রাগনের দেশ চিন। ইন্ডিয়া টাইমের রিপোর্ট জ্বলজ্বল করছে চিনের ৫৮ বিলিয়ন ডলারের বড় বিনিয়োগ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। তবে এবার ব্রিটেন থেকে যা খবর এল তা শুনে রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল পাকিস্তানের৷
পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল জারিদার ভুট্টো ভারতে এসে এ নিয়ে মুখ খোলার সাহস করবে বলে মনে করছেন না কূটনৈতিক মহল। মোদী সরকারের বড় এজেন্ডা পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত নেওয়া স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন ভারতীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তাও আবার ব্রিটেনের বসে। ইতিহাস স্বাক্ষী এই ব্রিটেনের ষড়যন্ত্রেই আজ গিলগিট বালটিস্তান পাকিস্তানের দখলে। ভারতীয় মন্ত্রী আন্তর্জাতিক মহলে মুখ খুললেন। এর মানে কি ভারত হটস্পট পিওকের ওপর অ্যাকশনের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে ফেলেছে?
কেন চিন হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়বে পিওকে আগলাতে? পাকিস্তান এখানেই খেলেছে একটা সুক্ষ্ম খেলা৷ ১৯৪৭ সালে আজাদ জম্মু কাশ্মীর, গিলগিট বালটিস্তান এই দুটো অঞ্চল দখল করে পাকিস্তান। লন্ডনে বসে মন্ত্রীর জিতেন্দ্র সিংয়ের দাবি সেসময় ততৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু যদি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে কাশ্মীর নিয়ে ডিল করতে দিতেন তাহলে প্রিন্সলি স্টেট বা দেশীয় রাজ্যগুলোকে যেভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন প্যাটেল সেভাবে গিলগিটকেও করতেন। দেশভাগের পরই সাকসগাম ভ্যালি চিনকে উপহার দেয় পাকিস্তান। এবার সেই চিন দাদাগিরি দেখাতে প্রস্তুত পিওকেতে। ৫৭.৭ বিলিয়ন ডলারের রেল প্রজেক্টের মঞ্জুরি চিনকে দিয়েছে। পাকিস্তান এটা সবথেকে ব্যয়বহুল প্রকল্প মনে করা হচ্ছে। এই রেললাইন বা রেলট্র্যাক পিওকের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাবে। ৩০০০ কিলোমিটারের এই রেললাইন CPEC অংশ হবে। চিনের সিনজিয়াঙের সঙ্গে পাক গোয়াদর বন্দরকে জুড়বে এই লাইন।
এবার পরিস্কার হচ্ছে পাকিস্তানের একা ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা নেই বলে। কীভাবে চিনকে ঢুকিয়ে দিল এই বিষয়ে। কিন্তু ভারত যখন নিজেদের এজেন্ডায় পিওকে দখল ঢুকিয়ে নিয়েছে তাহলে সেটা করেই ছাড়বে। যেমনটা জম্মু কাশ্মীর ৩৭০ ধারা প্রবর্তন। বহু কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় এই পয়েন্টটাই উঠছে। তবে তার জন্য ভারত কোন পথে ধরে? আর এক ঢিলে কীভাবে দুই পাখি (পাকিস্তান-চিন) মারে সেটাই দেখার৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম